ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:২৯ পিএম | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:২৫ পিএম
জলের গান ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য রাহুল আনন্দের ছেলে চন্দ্রবিন্দু তোতা।
শিশুদের চলচ্চিত্র এখনো আমাদের দেশে উপেক্ষিত। নির্মাতা থেকে শুরু করে সমাজের সবাই মনে করেন, এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়। মানবতা, দায়িত্ববোধ, সহিষ্ণুতা ও ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এই শিক্ষাগুলো ছোটবেলা থেকেই পাওয়া দরকার। শিশু-কিশোরদের মনন জগতের মানসিক বিকাশ ও নির্মল বিনোদনের ভাবনা নিয়েই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মেধাবী নির্মাতা দেবাশীষ দাস নির্মাণ করছেন ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী, ও চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবাশীষ দাস। নিপুণভাবে গত ছয় মাস ধরে নিরন্তর প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে এবার শুরু হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটির শুটিং। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি- ৩মার্চ পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন লোকেশনে শুট করা হবে। কুষ্টিয়া শহরের নির্ধারিত শুটিং শেষ করে চলচ্চিত্রটির বাকি অংশের কাজ যথাক্রমে গাজীপুর, বিরিশিরি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নওগাঁ, দিনাজপুর ফুলবাড়ি-তে চলবে। চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চলচ্চিত্রিক প্রকাশ নিয়ে ভীষণ আশাবাদী ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’ নির্মাণ শ্রমিক দল।
এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে ‘মুকুল’ নামের মূল চরিত্রে আবির্ভূত হচ্ছে ‘জলেরগান’ এর কর্ণধার রাহুল আনন্দ ও ঊর্মিলা শুক্লার একমাত্র সন্তান চন্দ্রবিন্দু তোতা। পাপেট তৈরি এবং ছবি আঁকা, ভেন্ট্রিলোকুইস্ট করা, স্টপ মোশন অ্যানিমেশন করার মতো আর নানান সৃজনশীল কাজে তার সময় কাটে। চলচ্চিত্রটির অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আবির্ভূত হবেন বাংলাদেশের অন্যতম অভিনেতা আহমেদ রুবেল, গত তিন মাস ধরে চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই গুণী অভিনেতা। থাকছেন সাইফুল জার্নাল এক রহস্যময় চরিত্র নিয়ে। আরো থাকছেন গাজী মাহতাব হাসান এবং রিফাত চৌধুরী। চলচ্চিত্রটির পোশাক পরিকল্পনায় রয়েছেন ঊর্মিলা শুক্লা।
‘ভিড়ের বাজারে মায়ের হাত থেকে হারিয়ে যায় দশ বছর বয়েসি মুকুল একর হাস্যময় মানুষের পিছু পিছু। আর এখান থেকেই শুরু হয় তার জগত-দর্শন। নানান ঘটনা নানান মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে মুকুল তার মায়ের কাছে ফিরে তো আসেই কিন্তু এই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তে তার এক আশ্চর্য বোধের উদয় হয়, মুকুল শুধু আর তার মায়ের সন্তান নয় সে পৃথিবীর সন্তানে পরিণত হয়। আর এই যাত্রায় তার সফর সঙ্গী হয় একটি সাদা ঘোড়া।’
শিশু-কিশোরদের স্বাধীন মনোজগতকে দিশা দিতে এই চলচ্চিত্রটির নির্মাণ যজ্ঞে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক মেধাবী চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীও নবীন নির্মাতা। শিশুতোষ চলচ্চিত্র শুধুমাত্র শিশুদের অভিনীত চলচ্চিত্র নয়। শিশুদের চারপাশের জগৎ, বোঝাপড়া ও কল্পনার জগৎকে কেন্দ্র করে শিশুদের উপযোগী প্ৰকৃত শিশুতোষ চলচ্চিত্র হয়ে উঠবে ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’।