পাহাড়ে কমলার নয়া সম্ভাবনা

সমির মল্লিক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:২২ পিএম

খাগড়াছড়িতে বারি-২ জাতের কমলা চাষের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আকারে ছোট এবং গোলাকার বারি কমলা-২। বছর দুয়েক আগে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণায় এই জাতের কমলা উদ্ভাবন করা হয়।

তবে এই চাইনিজ ছোট জাতের কমলা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী। চাইনিজ জাতের কমলা কৃষকরা বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষাবাদ করলে পাহাড়ের কৃষিজ অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, বারি কমলা-২ বা চাইনিজ কমলা মে-জুনে রোপণের সময়। তবে পাহাড়ে নিয়মিত সেচের ব্যবস্থা করা গেলে বছরের অন্যসময়ও এই জাতের কমলার চারা রোপণ করা যাবে। রোপণের ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। সঠিকভাবে যত্ন ও পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছ থেকে কমপক্ষে ৫০০-৬০০টি কমলা পাওয়া সম্ভব। গবেষণা কেন্দ্রে রোপণকৃত মাতৃবাগানে বর্তমানে প্রচুর ফল ধরেছে।

মাতৃবাগানে পরিচর্যা করা মংসানই মারমা জানান, এই কমলা গাছের খুব যত্ন করতে হয়। যতো বেশি পরিচর্যা করা যায় তত বেশি পরিমাণ ফল উৎপাদন করা সম্ভব। এই গাছগুলোতে নিয়ম অনুসারে ওষুধ প্রয়োগ করে পোকা মুক্ত রাখতে হয়। সঠিকভাবে যত্ন নিলে এই কমলা খুব রসালো ও সুস্বাদু হয়।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, এটি বর্তমানে দেশে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বারি-২ কমলার চাষাবাদ হচ্ছে। ভবিষ্যতে কৃষকদের সামনে বারি-২ কমলার সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারলে অত্যন্ত লাভজনক ফল ফসল হিসেবে পরিচিতি পাবে। বারি-২ কমলা একটি সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ হিসেবেও বাড়ির আঙিনায় এবং ছাদেও চাষাবাদ করা যায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh