২১ আগস্ট মঞ্চে গ্রেনেড ছুড়েছিল ইকবাল: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৪৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন হুরকাতুল জিহাদ সদস্য ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিম। 

ওই দিন মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়েছিলো ইকবাল। হামলার পর আত্মগোপনে চলে যান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এই জঙ্গি। ইকবাল ঝিনাইদহের আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, আত্মগোপনে থাকাকালীন কখনো নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিকশা মেকানিকের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন ইকবাল। তবে র‌্যাব ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার উপর্যুপরি অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। প্রথমে ‘সেলিম’ ও পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর নাম ধারণ করেন। মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রবাসে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ২০২০ সালের শেষের দিকে অন্যদের মতো তাকেও দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গতরাতে গ্রেফতার হন তিনি।

তিনি বলেন, আজ ভোররাত ৩টার দিকে ইকবালকে দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) দেয়া তথ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতার করে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঘৃণিত, কলঙ্কজনক ও বিভীষিকাময় একটি দিন। সেদিন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘৃণ্যভাবে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। 

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ইকবালকে গ্রেফতারের জন্য ঝিনাইদহে তার বাড়িতে এবং পরবর্তীতে গাজীপুর ও সাভারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু ইকবাল আত্মগোপন করেন।

২১ আগস্ট ইতিমধ্যে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আদালতে দীর্ঘ সাত বছরে সর্বমোট ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলাটির রায় দিয়েছে। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh