প্রথম ভিনগ্রহের শব্দ পাঠালো পারসিভারেন্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪৬ পিএম

মঙ্গলের ছবি পাঠাতে শুরু করেছে পারসিভারেন্স। অত্যাধুনিক যন্ত্রটি লালগ্রহে প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছে।

নাসার ভিডিও

এই প্রথম পারসিভারেন্সের পাঠানো ভিডিও রিলিজ করল নাসা। মঙ্গলে নাসার রোভার পারসিভারেন্স ল্যান্ড করার মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে ওই ভিডিও-তে।

মঙ্গলের শব্দ

শুধু ছবি নয়, একটি ক্লিপে মঙ্গলের শব্দও রয়েছে। পারসিভারেন্সের দুইটি মাইক ওই শব্দ রেকর্ড করেছে। খুব হাল্কা হাওয়ার শব্দ রয়েছে ওই সাউন্ড ক্লিপে। তবে ল্যান্ডিং করার সময় মহাকাশযানের মাইক কাজ করেনি। ফলে ল্যান্ডিংয়ের সময় কোনো শব্দ রেকর্ড করা যায়নি।

সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশযান

নাসার দাবি রোভার পারসিভারেন্স এখনো পর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশযান। মঙ্গলে মূলত জল এবং প্রাণের সন্ধান চালাবে এই যানটি।

প্রথম হেলিকপ্টার

এই প্রথম মহাকাশে হেলিকপ্টার পাঠালো নাসা। মঙ্গলের আকাশে ঘুরপাক খাবে হেলিকপ্টারটি। আকাশ থেকে মঙ্গলের ছবি সংগ্রহ করবে হেলিকপ্টারটি।

অ্যাটলাস ভি রকেট

অ্যাটলাস ভি রকেটে করেই মহাকাশে পাঠানো হয় রোভার পারসিভারেন্সকে। ৩০ জুলাই ফ্লোরিডার গবেষণাকেন্দ্র থেকে রকেটটিকে ছাড়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পৌঁছায় পারসিভারেন্স।

পাথরে অক্সিজেন

অত্যাধুনিক পারসিভারেন্সে ২৩টি ক্যামেরা আছে। রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। দুইটি শক্তিশালী মাইক্রোফোন। মঙ্গলের পাথরে অক্সিজেনের সন্ধান চালাবে এই যানটি। এই প্রথম এ ধরনের পরীক্ষা চালাবে নাসা।

কিউরিওসিটির অনুসন্ধান

এর আগে ২০১২ সালে মঙ্গলে কিউরিওসিটি পাঠিয়েছিল নাসা। এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে ২১ কিলোমিটার ঘুরেছে ওই যানটি। কিউরিওসিটি কেবলমাত্র একটি রোভার নয়। তার ভিতরে আস্ত একটি পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে পাঠানো সব চেয়ে আধুনিক মহাকাশযান কিউরিওসিটি।

স্পেকট্রোমিটারের কামাল

পারসিভারেন্স কিউরিওসিটির চেয়েও আধুনিক। এর গায়ে স্পেকট্রোমিটার লাগানো আছে। অনেক দূর থেকেও লেজারের সাহায্যে পাথর এবং মাটির কেমিক্যাল কম্পাউন্ড পরীক্ষা করতে পারে এই যন্ত্রটি। একই সঙ্গে বায়ুর চাপ, গতি, ঘনত্ব পরীক্ষা করতে পারে এই যন্ত্র।

মঙ্গলে প্রথম টায়ারের দাগ

১৯৯৭ সালে প্রথম মঙ্গলে কোনো গাড়ি বা রোভার নামে। সেই যন্ত্রটির নাম ছিল রোভার সোজর্নার। ওই মোবাইল রোবটে এক্স-রে যন্ত্র লাগানো ছিল। এখনো মঙ্গলে রয়েছে সোজর্নার। তবে কিউরিওসিটি পৌঁছানোর পরে ওই যানটির আর কোনো গুরুত্ব নেই।

সূত্র- ডয়েচে ভেলে 


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh