মো. মহিউদ্দীন শুভ শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ, পবিপ্রবি
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০১ এএম
মেধাবী শব্দটির সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার হয় গণমাধ্যমে। কোনো ছাত্র মারা গেলে বলা হয়, মেধাবী ছাত্র অমুক, বা মেধাবী ছাত্রী তমুক নিহত হয়েছে। কেউ নির্যাতিত হলেও সে ‘মেধাবী শিক্ষার্থী’ বলে জানানো হয়। সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসে অমেধাবী কেউ মরেনি, যারা মরেছে সবাই মেধাবী। এই অপমানসিকতা নির্দেশ করে আমাদের রুগ্ন শিক্ষাব্যবস্থাকে, প্রতিষ্ঠিত করে একটি প্রবল সত্য—আমরা কেবল মেধাবীকেই সব মানবিক সহায়তা ও সমর্থন দিতে ইচ্ছুক। অমেধাবী শব্দটি শুনতে এবং তাদের মূল্যায়ন করতে আমরা অনিচ্ছুক। যেদিন আমাদের বীরেরা, মৃতেরা, সাহসীরা এবং নির্যাতিতরা তাদের প্রকৃত বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান নিয়েই স্বীকৃত হবে, সেটাই হবে মনুষ্যত্বের বিজয়। অমেধাবী শব্দটিকেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে—গণমাধ্যম এই গুরুদায়িত্ব কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।