শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫১ পিএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:২০ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রায়ে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিন ধার্য করা হয়। সে অনুসারে বুধবার মামলাটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা ছিলো।

১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারিক আদালতে আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও আসামি আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরো এক বছরের দণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

তবে এসব আসামিদের ক্ষেত্রে আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বহাল, আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস ও মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানের ১৪ বছর সাজা খাটা হলে মুক্তি প্রদান এবং আসামি সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন ও মোহাম্মদ আহসান।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দুইদিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকানঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরো একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।

এসব ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দুইটি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম।

রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে।  

জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh