করোনা ঠেকাতে একসাথে দুটি মাস্ক পরুন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:১৯ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনো পুরোদস্তুর বহাল রয়েছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো পর্যন্ত কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, কেতাদুরস্ত মাস্ক নয়, একসাথে দুইটি ও আঁটোসাঁটো মাস্কই পারে কভিড-১৯ এর মতো অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে। 

ফ্লোরিডার ‘আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মাস্ক না থাকলে ড্রপলেট প্রায় ৮ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত গিয়ে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। কিন্তু দুইটি মাস্ক পরে থাকলে ২.৫ ইঞ্চির বেশি ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়তে পারে না।

ভারতের পশ্চিবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, কভিডের টিকা দেয়া শুরু হলেও সঠিকভাবে মাস্ক পরাকে আমাদের জীবনের অঙ্গ করে নেয়াই ভাইরাস আটকানোর একমাত্র পথ। তাছাড়া মনে রাখতে হবে, কোনো টিকাই ১০০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম নয়। এখন কভিডের যে টিকা দেয়া হচ্ছে, তা ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাই মাস্ক খুলে ভিড় বাড়ালে কভিড ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকে।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ দেবকিশোর গুপ্তর মতে, একটু কষ্ট করে মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখলে অনেক সংক্রমণই প্রতিরোধ করা যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, চিকেন পক্স, টনসিলাইটিসের মতো সংক্রামক অসুখের ঝুঁকিও অনেক কমেছে। মাস্ক পরার মূল উদ্দেশ্য বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাস আটকে দেয়া।

তবে তার মতেও, রং-বেরঙের ফ্যাশনেবল মাস্ক পরে কোনো লাভ নেই।

সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, মহামারি বা অতিমারি একবার হয়েই শেষ হয়ে যায় না। আবার ফিরে আসার ঝুঁকি থাকে। মাস্ককে জীবনের অঙ্গ করতে পারলে ভবিষ্যতের মহামারিকেও আটকে দেয়া যাবে। -আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh