বিশ্বায়ন থেকে সংখ্যায়ন ও করোনা-উত্তর পৃথিবী

ড. ফারহাত জাহান

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:০১ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১, ০১:০৮ পিএম

ড. ফারহাত জাহান

ড. ফারহাত জাহান

আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত করোনাভাইরাস মহামারির জন্য পৃথিবীর প্রস্তুতি ছিল না। যেমনটি ছিল না এ মুহূর্তে বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে ভাববার জন্য। প্রায় এক বছর ধরে করোনাভাইরাসের প্রকোপে জুঝতে থাকা পৃথিবীর কাছে উত্তরণের উপাত্ত বা ওষুধ এখন হাতে। যদিও এর কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন সন্দেহ ও শঙ্কাম্ক্তু নয়। 

তবে এটিও সত্য- ক্রান্তিকাল অতিক্রমের এক সম্ভাবনাময় সময় পার করছে মানুষ। আশা-নিরাশায় দোদুল্যমান এ অবস্থা পৃথিবীকে কিছু নতুন ও পুরনো প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। 

প্রশ্ন উঠছে- কি হতে পারে পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা? এ বিশ্ব কি বিশ্বায়নের বলয়কে ডিজিটালাইজেশন বা সংখ্যায়নের দিকে ধাবিত করছে? এ বিশ্বদুর্যোগ কি দুনিয়ার শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে নতুন বা বিকল্প বিশ্বনীতি নিয়ে ভাববার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে? পৃথিবীর গরিব রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানইবা কি হবে? সমাজ তথা সাধারণ মানুষইবা কোন অবস্থানে দাঁড়াবে অতঃপর? প্রায় ত্রিশ বছরের দীর্ঘ শীতলযুদ্ধের (১৯৪৭-১৯৯১) পর, এ বিশ্ব বাইপোলার শক্তি বলয় থেকে বেরিয়ে ইউনিপোলার শক্তি বলয়ে প্রবেশ করেছিল, যা ‘নয়া বিশ্বব্যবস্থা’ নামে পরিচিত। এ নয়া বিশ্বব্যবস্থায়, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের দ্বান্দ্বিকতার আপাত অবসানের পর মোটাদাগে প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই গণতন্ত্রের ছায়াতলে মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বিশ্বায়ানের বৈতরণী ধরে প্রবৃদ্ধির হিসাব করে আসছিল। 

করোনাভাইরাস মহামারি এই নয়া বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। যদিও প্রতি শতকেই নানা কারণে বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটে। কখনো যুদ্ধ-গৃহযুদ্ধ বা কখনো প্রতিরোধ বা কখনো মহামারির কারণে। বিগত বিংশ শতাব্দী তার সাক্ষী। যা-ই হোক, ইতিমধ্যে চেনা পৃথিবী অনেকটাই বদলেছে এবং আরও পরিবর্তন আসন্ন। ডিজিটালাইজেশন বা সংখ্যায়ন বিকশিত হয়েছে। যদিও তা নতুন কিছু না, তবে অবশ্যই তা যোগাযোগ, সম্পর্ক ও বাণিজ্যের এতদিনের অভ্যস্ত পরিধিতে পরিবর্তন এনেছে। তবে কি এ পরিবর্তন নয়া বিশ্বব্যবস্থাকে অন্য বাঁক দিতে যাচ্ছে? নয়া বিশ্বব্যবস্থার তিন প্রপঞ্চের এক প্রপঞ্চ ‘বিশ্বায়ন’ কি সংখ্যায়নের রূপান্তর হতে যাচ্ছে? নাকি তা অন্য উপাদানগুলোর সীমাবদ্ধতার দিকে নজর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে? বলা বাহুল্য, বিশ্বায়নকে কেবল মুক্তবাজার অর্থনীতি নয় বরং তথ্যপ্রবাহ, প্রযুক্তির হস্তান্তর, সামাজিক পরিস্থিতির বিন্যাসকরণে এর প্রভাব ও রাষ্ট্রব্যবস্থার নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় এর আধিপত্যের আলোকে দেখাও জরুরি।

করোনাভাইরাস মহামারির সর্বোচ্চ আঘাত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দৃশ্যমান। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, রাষ্ট্রকে তা বাধ্য করেছে তার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের দিকে নজর দিতে। শুধু অনুন্নত বিশ্ব নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনের মতো তথাকথিত উন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য প্রশংসিত জার্মান প্রশাসনের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাস্তবায়ন কার্যক্রম এখন সমালোচিত হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি রাষ্ট্রগুলোও শুধু করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নয়; বরং এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাস্তবায়নেও হিমশিম খাচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এতদিনের অর্জিত উন্নয়ন। জার্মানির মতো আধা-কল্যাণকামী ও ইউরোপের অন্যান্য কল্যাণকামী রাষ্ট্রগুলোতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হলেও তা বিনামূল্যে নয়। রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে খরচ ভাগাভাগির হিসাবটা হয়তো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর জন্য মডেল হতে পারে; কিন্তু একটি মানবিক স্বাস্থ্যসেবার প্রশ্নে তা ত্রুটিমুক্ত নয়। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরদারি এখনো কার্যকর নয়। 

বিজ্ঞান ও গবেষণা- যা বাজার অর্থনীতিতে উপেক্ষিত ছিল। এখন দাবি জানাচ্ছে জোর নজরদারির। অন্যদিকে, সেবা খাত নিবিড় মনোযোগের দাবি করছে, যা অর্থনৈতিক উদারীকরণের শিকার। বাংলাদেশের বাস্তবতায় বলা যায়, স্বাস্থ্যসেবায় সাধারণ মানুষের অধিকার বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। সেইসঙ্গে বরাদ্দও অপ্রতুল, যদিও জীবনরক্ষাকারী ইমুনাইজেশন কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য সরকার বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাই করোনাভাইরাস প্রকোপ থেকে জনসাধারণকে রক্ষার জন্য, তা সহজলভ্য করে তোলা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের ও বাণিজ্যিকায়ন রোধের।

শুধু স্বাস্থ্য খাত নয়, প্রবৃদ্ধি ও মুনাফার অংক কষতে থাকা অর্থনীতিতেও এ মহামারি এক অপ্রত্যাশিত আঘাত ও উদ্রেক করেছে গভীর উদ্বেগের। কমেছে ভোগ্যদ্রবের উৎপাদন ও বাজার, বন্ধ হয়েছে দোকান, বন্ধ হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও সীমান্ত বন্ধ- পরিবহন বাণিজ্যকে লোকসানের হিসাব কষতে বাধ্য করেছে। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি, পর্যটন বাণিজ্য, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, রিয়েল এস্টেট বিজনেস, বিমান ও মোটরগাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতির খতিয়ানের খাতা খুলেছে। শ্রমবাজারের সঙ্গে এর সংযোগ থাকায় সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে তা সংকটাপন্নও করেছে। 

অনুমান করা হচ্ছে, আসন্ন দিনে বিশ্বব্যাপী বেকারত্বের সংখ্যা আরও বাড়বে। বাংলাদেশের মতো বৃহৎ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশের অর্থনীতিতে ইতিমধ্যে প্রভাব পড়েছে। শ্রমিক ছাঁটাই শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। হোম অফিস বা কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন, কর্মস্থান হ্রাস শুধু বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে না বরং অর্থনীতি ও বিনিয়োগকারীকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির খাপ খাওয়ানোর জন্য ও বিকল্প অনুসন্ধানের জন্যও আহ্বান জানাচ্ছে। কেননা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অনলাইন বাণিজ্য একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। ডিজিটাল বাণিজ্য যেমন- নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, ইউটিউব, গুগল, জুমের মতো সংস্থাগুলো লাভের খাতা বর্ধিত করেছে। যদিও এ ডিজিটাল পরিষেবা নতুন কিছু না, তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ডিজিটাল বাণিজ্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। একইসঙ্গে নতুন বাণিজ্য কৌশল নিয়ে উদ্যোক্তাদের ভাবতে বাধ্য করেছে। 

প্রসঙ্গত, ডিজিটালাইজেশন অব ওয়ার্ক বা কাজের সংখ্যায়ন করোনাভাইরাস প্রকোপের আগে থেকেই প্রথাগত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রকে আতঙ্কিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উবারাইজেশন, যারা একটি গাড়ির মালিক না হয়েও পৃথিবীর সর্বোচ্চ গাড়িসেবা প্রদানকারী সংস্থা হয়েছে। এতে করে ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের ক্রেতা কমেছে বিশ্বব্যাপী, বেড়েছে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আতঙ্ক ও হয়েছে অনেকে কর্মহীন। মনে করা হচ্ছে, দূরত্ব রক্ষার বাধ্যবাধকতা সংখ্যায়নের বাণিজ্যিক গতিকে আরও বিকশিত করতে যাচ্ছে। 

এদিকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার অন্যতম প্রপঞ্চ ‘বিশ্বায়ন’ বিগত কয়েক দশকে মানুষকে সংযোগের শিখরে নিয়ে যায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ধরন ও বিস্তার এ সংযোগকে বিচ্ছিন্ন করে, মানুষের চেনা জগৎ তার কাছে হঠাৎ অচেনা হয়। শুধু ভ্রমণ নয়, নিত্যদিনের স্বাভাবিক-সাধারণ জীবনাচরণ, যেমন- উপাসনালয়ে যাওয়া, পার্ক, শপিং মলে যাওয়া, মিটিং, সমাবেশ, নাটকপাড়া, বিবাহ, জন্মদিন আচার-অনুষ্ঠান পালন, বা জানাজার মতো সামাজিক জমায়েত, সামাজিক দূরত্ব রক্ষার কারণে মানুষকে এক নতুন বিচ্ছিন্নতার সমঝোতা করতে বাধ্য করে। সংক্রমণের আশঙ্কা শুধু প্রতিদিনের জীবনে নয়, মনোজগতেও প্রভাব ফেলেছে। 

এ আশঙ্কা সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করেছে। নিত্যপ্রয়োজনের জন্য বাজারে যাওয়া মানুষ আতঙ্কের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছে, বিশেষ সুরক্ষার নীতি মেনে নিয়ে পাবলিক প্লেসে যেতে বাধ্য হচ্ছে। মাস্ক পরতে বাধ্য হওয়া মানুষ বদলেছে তার শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধরন। সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন করতে বাধ্য হওয়া মানুষ ডিজিটাল দুনিয়ায় নির্ভরশীল হতে বাধ্য হয়, যা এতদিন ছিল তার জন্য কখনো শখের বা প্রয়োজনের অনুষঙ্গ, তা আবশ্যিক হয়ে দাঁড়ায়। নয়া বিশ্বব্যবস্থার অন্যতম পদ্ধতি ‘বিশ্বায়ন’ সংখ্যায়নের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক রক্ষায় নতুন মাত্রা পায়। 

করোনা-পূর্ব পৃথিবী প্রযুক্তির উর্ধ্বগতি ও বাণিজ্যিক বিশ্বায়নের আন্তঃনির্ভরশীলতার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে এগিয়ে চলছিল; কিন্তু তা ক্ষুধা, দরিদ্রতা, অসমতা, গৃহযুদ্ধ এবং এর ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু সংকট ও আঞ্চলিক দুর্ভিক্ষমুক্ত ছিল না। আগেই বলেছি, করোনাভাইরাস মহামারি উন্নয়নের সীমাবদ্ধতাগুলোকে প্রকট করে তুলে ধরতে সহায়তা করেছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিবর্তনগুলো কি সংকট নিরসনে কোনো ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে? করোনাভাইরাস মহামারি-পরবর্তী পৃথিবী উদ্ধার কার্যক্রম নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। ইউনিপোলার বিশ্ব এখন বিচ্ছিন্নতার কবলে। এ মহামারি দীর্ঘদিন যাবৎ বিরাজমান অসমতার রাজনীতিকে কীভাবে ঘনীভূত বা তরলীভূত করতে যাচ্ছে?- এ প্রশ্ন বুদ্ধিজীবীমহলে এখন একটি আলোচনার বিষয় বটে। যদিও এর সদুত্তর কারও জানা নেই। তবে এ সংকট মোকাবেলায় সবার আগে প্রধান প্রপঞ্চ রাষ্ট্রের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। শক্তিশালী বাজার অর্থনীতির কাছে নতজানু এ বর্তমান পৃথিবী অন্য বাঁক নিতে যাচ্ছে এটি আজ পরিষ্কার। বাণিজ্যিক বিশ্বায়নের প্রথাগত বলয়কে করোনাকালীন সংকট আহত করেছে।

ঐতিহাসিকভাবে এটি একটি অনন্য সময়, যখন বিশ্বের পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সেবা খাত নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে, কল্যাণকামী রাষ্ট্রগুলো করছে পর্যালোচনা এবং মিশ্র অর্থনীতির দেশগুলো করছে বিশেষ বিবেচনা। নিঃসন্দেহে বর্তমান এ অবস্থা আশার আলো সঞ্চার করে। প্রশ্ন উত্থাপন করে- আগামী পৃথিবী কি তাহলে পূর্বের তুলনায় মানবিক হতে চলেছে? কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এমনটি আশা করা যাচ্ছে না। কারণ শ্রমবাজারে ইতিমধ্যে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তাতে করে সমতার বদলে বরং অসমতাই ঘনীভূত হবে।

বস্তুত উদ্ধার প্যাকেজ তথা করোনাভাইরাস ইমুনাইজেশন প্রোগ্রাম কীভাবে পরিচালিত হতে যাচ্ছে, আপাতত এর ওপর নির্ভর করছে সংকট উত্তরণ। উত্তরণের পন্থা নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘ, জার্মানি ও নবনির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যে বিশ্ব সৌহার্দের বাতচিত শুরু করেছেন। চীন যদিও অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েছে, তবে তার বাণিজ্যিক দাপটকে উপেক্ষা করা যায়। 

স্বল্পমূল্যে ডিজিটাল সামগ্রী ভোক্তার হাতে তুলে দিতে যার নাম সবার আগে আসে। যে দক্ষিণ গোলার্ধে উদীয়মান শক্তি হিসেবে সে ইতিমধ্যে স্থান করে নিয়েছে, যদিও তার সমাজতান্ত্রিক আদর্শ বিশ্বজুড়ে ‘স্বৈরতন্ত্রের’ নামে অধিক পরিচিত। এদিকে নয়া বিশ্বব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সমতার সীমাবদ্ধতা, অর্থনৈতিক উদারীকরণে ফাটলও এখন প্রকট। সংখ্যায়ন ইতিমধ্যে সামাজিক সম্পর্ক তথা সমাজব্যবস্থায় তার প্রভাব ঘনীভূত করেছে, বাণিজ্যকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। করোনাভাইরাস-পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোতে তার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। ডিজিটালাইজেশন বা সংখ্যায়নকে যদিও বিশ্বায়নের পরিবর্তিত অভিযোজন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিবর্তনগুলো ইঙ্গিত করছে, সংখ্যায়ন নতুন বিশ্বব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব রাখতে যাচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh