নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:২৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরেকটু নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি টিকা নেয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন, তাদেরকেও কিন্তু মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ১২ কার্যদিবসের এই অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
মহামারি মোকাবেলায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন, তাদেরকেও কিন্তু মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। এটা নিজের জন্য বা অন্যের জন্য এটা দরকার, সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা সারাবিশ্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সকলকেই নিরাপদ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে অনলাইনে পাঠ চলমান রয়েছে। করোনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আরেকটু নিয়ন্ত্রণে এলেই আমরা স্কুল-কলেজ সব খুলে দেবো। তখন ছেলেমেয়েরা আরো সুন্দরভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।
সমাপনী ভাষণে বিরোধীদলীয় নেতার অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিরোধীদলীয় নেতার এই অধিবেশনে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার বাসায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জনগণের কথা চিন্তা করে এখানে আসেননি। আমরা তার বক্তৃতা শুনতে পারলাম না এজন্য আমি দুঃখিত, কিন্তু তার ভেতর যে জনগণের প্রতি কল্যাণমূলক চিন্তা তার জন্য তাকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা যত কথাই বলুক, তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। তাদের ওপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গেছে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষ সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। তার প্রতিফলন দেখা গেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয়।
সংসদ নেতা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে, প্রশংসা তো করলই না, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না। সেতুতে না উঠে নৌপথে যেতে হলে নৌকাতেই উঠতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনেকটা হাস্যরস করে বলেন, উপায় নাই, নৌকায়ই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়। সবাইকে নেব। কিন্তু বেছে নেব। কেউ যেন নৌকা ফুটো করতে না পারে।
বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১২ বছর সরকার একটানা ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হয়েছে। একসময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশ চলত। একেকটা দলের একেকটা নীতি আছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নানাভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে-বিদেশে নানাভাবে নানা অপপ্রচার চালানোর প্রচেষ্টা। তবে যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যেহেতু সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে কাজেই স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলনা আমরা দেখলাম আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে।