কৃষি প্রণোদনা পেলেন ২৫ হাজার কৃষক

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১১:৪০ এএম

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশ ‘কার্যত লকডাউনের’ কবলে পড়ে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে পরিবহনসহ নানা সংকটে পড়ে প্রান্তিক কৃষকরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের এ সংকটের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় তিন ধাপে ২৫ হাজারের অধিক কৃষককে প্রণোদনার আওতায় এনেছে কৃষি বিভাগ। 

কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপনে ৩১৯০, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ সহায়তা বাবদ ১৫০০০ এবং বিভিন্ন প্রজাতির সবজি বীজসহ ধান বীজ ও সার সহায়তা বাবদ ৭০০০ কৃষককে তিন ধাপে এ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। 

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাবে পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণ ও পরিবহন সংকটসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকরা। আপদকালীন উত্তরণে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের পাশে নানাভাবে দাঁড়িয়েছে কৃষি বিভাগ। তিন ধাপে এই প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনে আরো বেশি সফলতা আসবে বলে মনে করছেন তারা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রাঙামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশেই প্রান্তিক কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সঠিক সময়ে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণ ও বিক্রয় করতে না পারায় তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রান্তিকদেরও সরকার তিন ধাপে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বোরো বীজ এবং বিভিন্ন প্রজাতির সবজি বীজসহ সার সহায়তা বাবদ প্রণোদনা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তিন দফার প্রণোদনা প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ মনে করে, বৃহৎভাবে না হলেও এই প্রণোদনা কৃষির উৎপাদন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন, কৃষি পণ্যের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সাধারণ ছুটি চলাকালীন কৃষি বিভাগ কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা করেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh