সয়লাব শীতের সবজি, ১৪ পণ্যের দাম নির্ধারণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১৫ এএম | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১৬ এএম

দেশের হাট-বাজার শীত মৌসুমের শাক-সবজিতে সয়লাব হয়ে গেছে। যার কারণে বাজারে প্রতিদিনই কমছে দাম। অন্যদিকে, উৎপাদন খরচ না পাবার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন উৎপাদনকারী কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষকের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির ন্যায্যতা ঠিক করতে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম এবারের শীত মৌসুমের জন্য ১৪টি কৃষি পণ্যের উৎপাদন মূল্য  নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কৃষিপণ্যগুলো হলো- পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মসুর ডাল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, টমেটো, কাচা পেঁপে, ঢেঁড়স, শীম, বেগুন, কাঁচামরিচ এবং লাউ। এর ফলে সরকার আশা করছে- কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছর আলোচিত পেঁয়াজের কেজিতে উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ টাকা ২৪ পয়সা। রসুনের ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা, মরিচ ১৯ টাকা, সরিষা ৩৩ টাকা ৮৪ পয়সা, মসুর ডাল ৪০ টাকা ৩২ পয়সা, টমেটো ৮ টাকা ২১ পয়সা,ঢেঁড়স ১০ টাকা ৭৯ পয়সা এবং বেগুন ৯ টাকা ২০ পয়সা।

এ প্রসঙ্গে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ জানিয়েছেন, প্রতি জেলা থেকে তিনজন প্রান্তিক চাষি, তিনজন বড় চাষি এবং তিনজন পাইকারকে নিয়ে মতামত গ্রহণের ভিত্তিতে এ বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করেই কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হবে না। তাদের পণ্যের দাম, সরবরাহ এবং সংরক্ষণের দিকেও নজর দিতে হবে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, তারা সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছে যাতে কৃষি পণ্যের দাম পড়ে গেলে তাদেরকে মূল্য সহায়তা দেয়া যায়। কিন্তু কৃষিপণ্য বিপণন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের ভর্তুকি পুষিয়ে দিলে তারা উৎপাদনে আগ্রহ ধরে রাখতে পারবে। একই সাথে কাঁচা শাক-সবজি সংরক্ষণে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টারেজ স্থাপন এবং কৃষি বীমা চালুরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এদিকে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য পরিবহনে খুলনা-ঢাকা রুটে অত্যাধুনিক সবজি ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ট্রেনে  সবজিসহ মাছ-মাংস,মৌসুমি ফলমূল, ফুল ও অন্যান্য পচনশীল পণ্যদ্রব্য দ্রুত রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসা হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যেগে গত শনিবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশনে অংশীজনদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় রেলওয়ের  রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মেহের কান্তি গুহ উল্লেখ করেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক সবজি, ফলমূল, ফুল উৎপাদন হয়। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার ব্লাক বেঙ্গল গোট’র মাংস বিখ্যাত। এগুলো যাতে কম খরচে সহজে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে পারে এবং উৎপাদনকারী কৃষকরাও যেন ন্যায্য মূল্যে বাজারজাত করতে পারে এজন্য এই বিশেষ ট্রেনটি চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ে মহাপরিচালক জানান, একটি চীনা কোম্পানি এই লাগেজ ভ্যান তৈরি করবে। এ জন্য এ লাগেজ ভ্যানটি কেমন হবে তার বিস্তারিত অংশীজন তথা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মতামত নেয়া হচ্ছে। এসময় এ ট্রেন নিয়ে ব্যবসায়ী ও কৃষকরাও তাদের মতামত তুলে ধরেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh