ইফতেখার আলম ফরহাদ
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২১, ১০:০৫ এএম
আমরা বেশিরভাগ মানুষই একটু সচেতনতার অভাবে জীবাণু ছড়াই। আমাদের চারপাশের পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। পরিবারের সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করতে হবে।
শুধু নিজেদের কথা ভাবলেই চলবে না, বাসার ছোটদেরও সচেতন করতে হবে। করোনা যুদ্ধে সুস্থ থাকতে পরিবারের সবার প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে।
যেখানে-সেখানে থুথু ফেলা উচিত নয়। রোগ-জীবাণু থুথু বা কফের মধ্যে বাসা বাঁধে। এ রোগ-জীবাণু নানারকম অসুখ (বাতাস বাহিত) তৈরি করে। কফ, থুথু যেখানে-সেখানে ফেলার জন্য নানারকম চর্মরোগও হয়।
বেসিনে কফ, থুথু ফেলার পর খুব ভালোভাবে পানি ঢালতে হবে। বাসার সদস্যদের চেষ্টা করতে হবে আলাদা বেসিন কাজে লাগানোর জন্য। শিশুরা যেখানে-সেখানে কফ, থুথু ফেললে বিপদ বাড়বে। বিষয়টি তাদের শিশু বয়স থেকেই শিক্ষা দিতে হবে। অনেক শিশু বাসার জানালা দিয়ে থুথু ফেলে। করোনাভাইরাসের কুফল তাদেরও বোঝাতে হবে। নিজেদের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ যতটা কমানো যায়, ততটাই উপকৃত হবো। উন্নত দেশগুলোয় যেখানে-সেখানে কফ, থুথু ফেলা নিষেধ। আমাদের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মিডিয়াগুলোকে এ বিষয়ে আরও তৎপর হতে হবে।
অনেক পূর্ণবয়স্ক মানুষ পান খেয়ে যেখানে-সেখানে পিক ফেলেন। বিষয়টি একইসঙ্গে দৃষ্টিকটু এবং পরিবেশ দূষণ করে। পানের পিকের সঙ্গে ধুলা-বালি, রোগ-জীবাণু জমে যায়। এ ধরনের জীবাণুসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাসার বাইরে সব সময় ফেস মাস্ক জরুরি। পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার। তাই সবার স্বার্থে কফ, থুথু, পানের পিক, ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।