করোনার টিকা অনুমোদনের আবেদন ফাইজার ও বায়োএনটেকের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২০, ০১:০৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও তার অংশীদার বায়োএনটেক তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছে।

একে প্রায় অচল হয়ে পড়া বিশ্বের অর্থনীতি থেকে মুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

দ্য ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে(এফডিএ) গতকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ফাইজার ও বায়োএনটেক এ আবেদন করার পর সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন কমিটি এই আবেদন নিয়ে আলোচনার জন্যে ১০ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে।

এফডিএ প্রধান স্টিফেন হান এক বিবৃতিতে বলেছেন, কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রতি জনগণকে আস্থাশীল করতে স্বচ্ছতা ও আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে তাদের পর্যালোচনায় কতো সময় লাগবে তা তিনি উল্লেখ করেননি। কিন্তু এর আগে ফেডারেল সরকার থেকে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরেই জনগণ টিকা পাবে।

ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বাউরলা তাদের করা আবেদনকে বিশ্বের কাছে করোনার টিকা পৌছে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।

ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি এফডিএর কাছ থেকে তারা আগামী মাসের প্রথমার্ধেই টিকার জরুরি অনুমোদন পায়, তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তা সরবরাহের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

ফাইজারের তৈরি টিকার প্রথম ক্লিনিক্যাল তথ্য ‘মেডআরএক্সআইভি’ সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়। ইতিবাচক ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বার্ষিক টিকা ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ কোটি করেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে মর্ডানা ও ইউএস ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট ফর হেলথ তাদের টিকা পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করে। তারা তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করে। আগামী ২৫ নভেম্বর নাগাদ মর্ডানা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করবে। এছাড়া অক্সফোর্ড ও আস্ট্রাজেনকার যৌথভাবে তৈরি ভ্যাকসিনেরও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা এখনো চলছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh