নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২০, ০২:৫৪ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০, ০২:৫৫ পিএম
রাজধানীর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন মো. রহিম নামে এক ব্যবসায়ী।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলাটি করেন ওই ব্যবসায়ী। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর এ বিষয়ে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- কোতায়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খায়রুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম এবং পুলিশের সোর্স দেলোয়ার হোসেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ‘রহিম গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাজ শেষে চরকালিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর আসলে অজ্ঞাতনামা তিনজন তার গতিরোধ করেন। তারা নিজেদের ঢাকা জেলার ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জানান তারা।
পরে তারা রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করেন। তবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। দোকানে উপস্থিত লোকজন রহিমকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। তারপর তারা রহিমকে দোকান থেকে বের করে বাবুবাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যান। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিলেন। এই তিনজন নিজেদের কাছ থেকে ৬৫০ পিস ইয়াবা বের করে বলেন, এগুলো রহিমের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
তখন আনিসুল ইসলাম বলেন, যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। না হলে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো। এ থেকে বাঁচার জন্য রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তুলে দেন। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিকে থানায় নিয়ে যান। পরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেন। রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে নেন। তাকে বলেন, তোকে বাঁচিয়ে দিলাম। ছোট মামলা দিলাম, দুই-একদিনের মধ্যে বের হয়ে আসতে পারবি।’
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, দাবিকৃত টাকা পেয়ে রহিমের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান। ১৭ দিন জেলে থেকে ৩০ অক্টোবর মুক্তি পান রহিম।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ওসি মিজানুর রহমান ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল। পরে অজ্ঞাতকারণে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।