জার্মানি ও ফ্রান্সে লকডাউন ঘোষণা

যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ প্রায় ১ লাখ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৩৩ এএম

যুক্তরাজ্যে আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। দেশটিতে দৈনিক প্রায় এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। 

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মহামারির গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে ও অনুমান করা হয় যে প্রতি ৯ দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। দেশটিতে এখন প্রতিদিন ৯৬ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

গবেষকরা বলছেন, ‌‌আমরা একটি জটিল পর্যায়ে আছি এবং কিছু বিষয় পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

এদিকে ইউরোপজুড়েই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু দ্রুত গতিতে বাড়তে দেখা গেছে। এরফলে আবারো লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই বসন্তেই আমরা করোনা সংক্রমণের চূড়ায় পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছি।

যুক্তরাজ্যে সব বয়সীদের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলেই সংক্রমণ বেশি। তবে দক্ষিণাঞ্চলেও পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই সময়ে প্রতি ৭৮ জনের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ইয়োর্কশায়ার এবং হাম্বার। সেখানে প্রতি ৩৭ জনের মধ্যে একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

এদিকে করোনা সংকট মোকাবিলায় জার্মানিতে আবারো লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে এই হার দৈনিক ৩০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে দেশটিতে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল জানিয়েছেন, জার্মানিতে ২ নভেম্বরে থেকে লকডাউন শুরু হবে। তবে সময়ে স্কুল ও দোকান উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ দুটি পরিবার বা সর্বোচ্চ ১০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বার, ক্যাটারিং, অবকাশযাপন কেন্দ্র ও হোটেল বন্ধ বন্ধ থাকবে। একইসাথে বন্ধ থাকবে দেশটির পর্যটন খাতও।

অপরদিকে ফ্রান্সে একদিনে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে দেশটির প্রসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামীকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) থেকে পুরো নভেম্বর মাস লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানুষ এসময়ে কেবল প্রয়োজনীয় কাজ বা চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারবে। রেস্তোঁরা ও বারের মতো অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবসা এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল ও কারখানাগুলো উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া মার্চ মাসের প্রাথমিক লকডাউনে যেমন প্রয়োজন ছিল তেমনি লোকদের বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে বাইরে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসার যে ঝুঁকি রয়েছে, সেটি যে প্রথমবারের তুলনায় অনেক বেশি বিপদজনক বা শক্ত হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। -বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh