যশোরে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি স্বামী

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৪৯ পিএম

স্ত্রী সুমির পরকীয়ার কারণে মন্নাতকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করা হয়েছে দাবি করে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানিয়েছে, মন্নাত হত্যাকাণ্ডে চারজনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামি শাহ আলম এবং যাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সেই সুমিকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে আটককৃতরা হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। হত্যায় ব্যবহৃত পাইপ, ইট, মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস বিফিংয়ে এই দাবি করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অপু সরোয়ার, জামাল আল নাসের, কোতয়ালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

সুপার জানান, মন্নাতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা সুমির সঙ্গে স্বামীর ছোট ভগ্নীপতি শাহ আলমের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। শাহ আলম এই মামলার এক নম্বর আসামি। পরকীয়ার কারণে মন্নাত-সুমির সংসারে অশান্তি লেগে ছিলো। পরে মন্নাতকে খুন করার জন্য শাহ আলম পরিকল্পনা করে। ২৩ অক্টোবর রাতে ইটের আঘাতে তাকে হত্যা করা হয় শহরের কারবালা এলাকায়। পলাতক শাহ আলমসহ অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।


প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর দিনগত রাতের কোনো এক সময় খুন হন ইস্রাফিল হোসেন মন্নাত। পরদিন সকালে মরদেহ উদ্ধার ও থানায় মামলা হয়। মামলাটি করেছিলেন নিহত মান্নাতের মা আনোয়ারা বেগম। তার অভিযোগ, পুত্রবধূ শারমিন সুলতানা সুমির পরকীয়ার বলি হয়েছেন মন্নাত। মন্নাত হত্যার পর পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল-আমিন (১৯), শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা নান্টুর বাগানের আবু তাহেরের ছেলে রিফাত (১৯), সুজলপুরের আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে রায়হান শেখ (২২) এবং একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে নয়ন হোসেন (২০)।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh