রংপুরের এএসআইয়ের সহযোহিতায় শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ১২:২৩ পিএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০১:৩৪ পিএম

ছবি: রংপুর প্রতিনিধি

ছবি: রংপুর প্রতিনিধি

রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) নেতৃত্বে মহানগরীর হারাগাছ থানা এলাকায় এক বাড়িতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আটক করা হয়েছে এই বাড়ির ভাড়াটে আলেয়া নামের এক নারীকে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এএসআই রায়হানুল ইসলাম। ওই ছাত্রীর সাথে পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাকনাম রাজু বলে জানান।

সম্পর্কের সূত্র ধরে গতকাল রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হানুল ডেকে নেন ওই এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটে আলেয়া বেগমের বাসায়। সেখানে রায়হানুল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার আরো কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করান। এ ঘটনায় ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লেও কৌশলে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ছাত্রীকে ওই বাড়ি থেকে আলেয়া বেগমসহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর খবর দেয়া হয় পরিবারকে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এএসআই রায়হানুলসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণের মামলা করেন। রাত ১২টায় পুলিশ ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ওই বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপেরও অভিযোগ রয়েছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে দুইজন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রাজু নামের একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছে সে। তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কি না, তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকেও পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে বলেও জানান তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh