প্রিয়াঙ্কার এগিয়ে চলার মন্ত্র

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১০:২২ এএম

স্মৃতিকথার নাম দিয়েছেন ‘আনফিনিশড’। ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অপূর্ণ, অধরা, ‘আনফিনিশড’ কাজ রয়ে গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। তবে সে সব নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।

অতীতের বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন না প্রিয়াঙ্কা। আত্মজীবনী প্রকাশের আগে তার কিছু টুকরো মুহূর্ত ধীরে ধীরে খোলসা করছেন অভিনেত্রী, কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায়, কখনো সাক্ষাৎকারে। 

প্রিয়াঙ্কার কথায়, আমি সামনে তাকাতে পছন্দ করি। এগিয়ে যাওয়ার সময়ে আমি ফেলে আসা জিনিসের কথা ভাবতে পছন্দ করি না। আর এই বিষয়টাকে আমি সদর্থক ভাবেই দেখি।

২০০০ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রিয়াঙ্কা বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন আন্তর্জাতিক তারকা। সে অর্থে তিনি ইন্ডাস্ট্রির ‘আউটসাইডার’। তিনি ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডরও। 

তার কথায়, হয়তো আমার মতো ‘স্মল টাউন গার্ল’এর পক্ষে একটু বেশিই বড় স্বপ্ন দেখতাম ছোটবেলায়। আমি দেখতে চাই, আমার বইটা পড়ে কতজন আমার জার্নির সাথে রিলেট করতে পারেন। এখনো অনেকটাই পথ চলা বাকি। কিছু ‘আনফিনিশড’ কাজ শেষ করতে হবে।

‘আনফিনিশড’ নিয়ে ঠিক কী বলছেন প্রিয়াঙ্কা? তিনি বলেন, বইটা আমার মতোই। সোজাসাপটা, সৎ, মজার, উদ্দীপক ও ছকভাঙা। জীবনে চলার পথে আমার যে অনুভূতি আর অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা কোনোদিনই প্রকাশ্যে আনিনি। তবে সেটা সামনে আনার সময় হয়েছে। মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে আমি কখনই ভয় পাই না, আর এই বইতে আমি সেই কাজটাই করেছি। আমি চাই, যারা মতপ্রকাশে সাহসী, এই বই তাদের সাহায্য করবে, বিশেষ করে নারীদের। তাদের যেন কাচের ঘরে বসিয়ে রাখা হয়, আর বলা হয়, তারা যেটা করতে চায়, সেটা সম্ভব নয়। আমি এই কাচের ঘরের দেয়ালগুলো কাঁপিয়ে দিতে চাই।

২০১৮ সালে আত্মজীবনী লেখার ঘোষণা দেন প্রিয়াঙ্কা। গত বছর বইটি বাজারে আসার কথা ছিল। কিন্তু লেখার কাজ গুছিয়ে উঠতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি। গত ১১ আগস্ট এক টুইটে ‘আনফিনিশিড’-এর কাজ শেষ হওয়ার তথ্য জানান প্রিয়াঙ্কা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh