নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০১:১৯ পিএম | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০৪:১৩ পিএম
পরপর দুই দফা সরকারকর্তৃক দাম নির্ধারণের পরেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না আলুর বাজার। সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা হলেও, বাস্তবতা ভিন্ন।
সরেজমিনে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, খিলগাঁও বাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা এবং মগবাজারে খুচরা বাজারে দেখা যায়, এখনো মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে।
এদিকে, আলুর দাম নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন আড়তদারদের। আড়ৎ ব্যবসায়ী মহল বলছে, তারা কমিশনে পণ্য বিক্রি করেন, হিমাগারে যা দাম রাখা হবে সেই দামেই বিক্রি করা হবে।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকাররা এখনো ৩৫/৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কারণেই খুচরা বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না।অন্যদিকে আড়তদাররা বলছেন, কোল্ড স্টোর থেকে সরকার নির্ধারিত দামে আলু ছাড়ছে না। সেখান থেকে নির্ধারিত মূল্যে আলু ছাড়লে আমরাও কম দামে ছাড়তে পারি।
মালিবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতা আহম্মদ আলী বলেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম ৩৬-৩৭ টাকা রাখা হয়। পাইকারি থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত এক কেজি আলু নিয়ে আসতে পাঁচ টাকা খরচ অতিরিক্ত পড়ে যায়। এতে কীভাবে আমরা ৩৫ টাকায় বিক্রি করব? পাইকারি বাজারে দাম কমলে আমাদের এখানে দাম কমে আসবে।
অন্যদিকে, কাওরান বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী আফজাল বলেন, আমরা কমিশনে আলু বিক্রি করি। আলুর দাম বাড়াতে আমাদের হাত নেই, আমরা যে দামে পাব সেই দামে বিক্রি করব।
এদিকে, খুচরা ব্যবসায়ী আর আড়ৎদারদের এই দোলাচলের সমস্যায় পিষ্ট হতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
বাজারে এসে এখনো আলুর দাম চড়া দেখে চক্ষু চড়ক গাছে উঠছে ভোক্তাদের। এমনই এক ক্রেতা শেখ মনিরুল ইসলাম। মনিরুল অভিযোগ করেন, সরকার দফায় দফায় দাম বেঁধে দিচ্ছে। অভিযান চালাচ্ছে। তার পরও ব্যবসায়ীরা তাদের জায়গায় অনড় রয়েছেন। বেশি দামেই আলু বিক্রি করছেন। এ কেমন কথা! এটা কি মগের মুল্লুক নাকি!
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর দাম হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি নিশ্চিত করতে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছিলো কৃষি বিপণন অধিদফতর। সেই দামের প্রতিফলন বাজারে না হওয়ায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) পুনরায় দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বর্ধিত দাম হিমাগারে ২৭ টাকা, পাইকারিতে ৩০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা করা হয়।