নন-এমপিও শিক্ষক প্রসঙ্গ

এস এম মিনহাজ কাদির

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২০, ০২:৪৬ এএম

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

একটা গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। মো. সেলিম রেজা যশোর জেলার চৌগাছার হাকিমপুর মহিলা কলেজে প্রায় ১৫ বছর শিক্ষকতা করছেন। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। তাই তাঁরও দেখা হয়নি বেতনভাতার মুখ। বেতন পান না তবু কলেজ ছাড়তে পারেন না; দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসায় আটকে আছেন। 

বলেন, কলেজে না গেলে আমার ছাত্রীদের কী হবে! এই ১৫ বছর তিনি শিক্ষকতা করতে পেরেছেন, কারণ তিনি সচ্ছল। কিন্তু এমন অনেক শিক্ষক আছেন যাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নন। বছরের পর বছর এমপিওর জন্য অপেক্ষা করে অবশেষে বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন পেশা। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার এসব নন-এমপিও শিক্ষকদের আছে অভিজ্ঞতা। দেশের স্বার্থেই এসব অভিজ্ঞ শিক্ষককে ধরে রাখা দরকার। তার জন্য প্রয়োজন তাদের আর্থিক নিরাপত্তা।

সম্প্রতি ২৭৩০টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু যারা এখনো নন-এমপিও রয়ে গেছেন তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। সরকারি নিয়ম-শৃঙ্খলা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করতে হয় এসব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও। এই কারণে সরকার তার দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না। ২০১৩ সালে যেমন সমস্ত রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (২৬,১৯৩টি) জাতীয়করণ করা হয়েছিল, তেমনি সব নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করা হোক। সঙ্গে সঙ্গে যত্রতত্র স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা স্থাপন বন্ধ করাও দরকার।

-শিক্ষক, গৌরীনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh