সিনেমায় নয়, বাস্তব জীবনে ক্যানসারকে হারালেন সঞ্জয় দত্ত

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০৬:০২ পিএম | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০, ০৬:০৩ পিএম

২০২০ সালে একের পর এক খারাপ খবরে জর্জরিত বলিউড। করোনা আবহে একের পর দুঃসংবাদের মাঝেই এল একটা বিরাট সুখবর, যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কথা টুইট করে জানালেন সঞ্জয় দত্ত।

এর মাঝেই আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে খবর এসেছিল সঞ্জয় দত্তের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর। তারপর থেকেই কাজ থেকে ছুটি নিয়ে চিকিৎসা চলছিল সঞ্জু বাবার। জানা গিয়েছিল- স্টেজ ফোর ক্যানসারে ভুগছেন বলিউড সুপারস্টার সঞ্জয় দত্ত। দু-দিন আগেই শোনা গিয়েছিল চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সঞ্জয় দত্ত। আর আজ যমজ সন্তান ইকরা ও শাহরানের ১০ বছরের জন্মদিনে টুইট করে সঞ্জয় দত্ত জানালেন তিনি যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন।

টুইট বার্তায় অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষিদের এই কঠিন সময়ে পাশে থাকা এবং লাগাতার প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান সঞ্জু বাবা। তিনি লিখেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমি এবং আমার পরিবার একটি কঠিন সময়ের মধ্য ছিলাম। ঈশ্বর তার শক্তিশালী এক সৈন্যকে (সঞ্জয় দত্ত) কঠিন যুদ্ধের (ক্যানসার) মুখোমুখি করেছিলেন। কিন্তু, আজ ২১ অক্টোবর আমার ছেলে ও মেয়ের জন্মদিনে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি সেই যুদ্ধে জয় লাভ করেছি। তাদের আমার সুস্বাস্থ্য উপহার দিতে পেরে আনন্দিত।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা ছাড়া এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারতাম না, যদি এই সুস্থতার জন্য চিকিৎসক ডা. সেওয়ান্তি ও বাকি স্বাস্থ্যকর্মীরা না থাকতো। আমার পরিবারের পাশে থাকার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এই সময়ে আমাদের শক্তি দিয়েছেন।’

হালেই দুবাইয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত ও তার স্ত্রী মান্যতা। তখনই ফের শুরু হয় জল্পনা শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। কিন্তু মান্যতা বিবৃতিতে বলেন যে- কোকিলাবেন হাসপাতালেই সঞ্জয়ের চিকিৎসা হচ্ছে। একান্তে সময় কাটাতেই দুবাই গিয়েছেন তারা। কভিড পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে চিকিৎসার বাকি পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সঞ্জয় ঘরনি। এর মাঝেই নিজেই যুদ্ধ জয়ের কথা জানালেন সঞ্জয় দত্ত।

প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের শেষ ছবি ছিল সড়ক-২, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া এই ছবি একেবারেই ব্যর্থ হয়। আপতত কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২ ছবির শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারকা। আগামী মাসেই শুরু হবে শ্যুটিং। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh