ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩৩ পিএম
হাতিস চেঙ্গিস
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) বিরুদ্ধে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিন সালমানের নির্দেশেই ২০১৮ সালে সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ওই সাংবাদিককে হত্যা করা হয়।
ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে দায়ের করা ওই সিভিল মামলায় আরো ২০ জনকে আসামি করেছেন খাসোগির মানবাধিকার সংগঠন ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও (ডন) ও তুরস্কের নাগরিক হাতিস। ওই হত্যাকাণ্ডের ফলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মানসিক আঘাত পেয়েছেন ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন।
২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তান্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে একদল সৌদি এজেন্ট খাসোগিকে হত্যা করেন। ওই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ সৌদি যুবরাজ দিয়েছিলেন- এমন অভিযোগ তোলা হলেও এমবিএস বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
খাসোগি সৌদি সরকার ও মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা জামাল খাশুগজি ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ওয়াশিংটন ডিসিতে দায়ের করা নাগরিক মামলায় হাতিস ব্যক্তিগত আঘাতের অভিযোগ তুলেছেন ও খাসোগির মৃত্যুতে হওয়া আর্থিক ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। মানবাধিকার সংস্থা ডনও অভিযোগ তুলেছে যে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সে হাতিস ও ডন জানায়- খাসোগি হত্যায় দায়ী যুবরাজ মোহাম্মদকে যেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আদালতে বিচারের আওতায় আনা হয়, সেই লক্ষ্যেই মামলাটি করেছেন তারা।
এক বিবৃতিতে হাতিস বলেন, জামাল বিশ্বাস করতো যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো কিছু সম্ভব। তাই বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য আমিও মার্কিন নাগরিক আইনের ওপর আস্থা রাখছি।
আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সৌদি আরব খাসোগি হত্যার তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নেয়। সেই বিচারে গতবছর ডিসেম্বরে পাঁচ সৌদি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে ২৪ বছর কারাদণ্ড দেয় সৌদি আদালত। এরপর চলতি বছর জুলাই মাসে মৃত্যুদণ্ডের ওই ৫ আসামির সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে দণ্ডিত ওই আসামিদের পরিচয় সৌদি সরকার প্রকাশ করেনি। ফলে আসল অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আন্তর্জাতিক মহলে। -বিবিসি