টেকনাফে মিয়ানমার থেকে ১৯৫.২১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৫০ এএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৫৩ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পরে পাঁচ দফায় মিয়ানমার থেকে একদিনে ১৯৫ দশমিক ২১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।

গতকাল রবিবার (১১ অক্টোবর) তিনটি ট্রলারে পেয়াঁজগুলো স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছায়। এর আগে সর্বশেষ চলতি মাসের ৭ অক্টোবর এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের ট্রলার এসেছিল। 

সেপ্টেম্বর ও চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে নৌপথে পাঁচ দফায় ৩২৭ দশমিক ৬১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।

তিনি বলেন, রবিবার একদিনে দুইজন ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছেন। এরমধ্যে আব্দুল জব্বার ১১২ দশমিক ২১ মেট্রিক টন ও মোহাম্মদ ফারুক ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আমদানি করা এসব পেয়াঁজ ট্রলার থেকে খালাস করে সন্ধ্যায় ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে রওনা দেয়।

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, মিয়ানমার থেকে বন্দর দিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে তিন হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের জুলাই মাসে এসেছিল ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। সেপ্টেম্বর মাসে ৫৭ দশমিক ২০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছিল। সর্বশেষ ৭ অক্টোবর বুধবার ১৯ দশমিক ১২৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, মিয়ানমার থেকে রবিবার সকালে ৮৩ মেট্রিক টন পেয়াঁজ আমদানি করেছি।  পেঁয়াজভর্তি আরো ট্রলার আসার পথে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোহর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে পাঁচ দফায় রবিবার সকালে তিনটি ট্রলারে ১৯৫ দশমিক ২১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সময়ে খালাস করা হয়েছে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজভর্তি ১৫টি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh