ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ১১:৪৯ এএম
বড়দিনের আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তালেবান জানালো, এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে দোহা চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে মার্কিন সেনা।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রচার চলার সময়ই ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, বড়দিনের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে আমাদের সাহসী ছেলে-মেয়েরা ঘরে ফিরবে।
তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাঈম বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প যে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে চুক্তি রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছেন, এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। দোহায় এই আলোচনায় দুই পক্ষই অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে। ফলে আলোচনা খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আল কায়দার আক্রমণের পর মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে যায়। তারপর প্রায় ২০ বছর কেটে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী লড়াই। ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, এই দীর্ঘস্থায়ী লড়াই থেকে তিনি মার্কিন সেনাকে সরিয়ে আনবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের সাথে লড়াইয়ের মধ্যে তিনি সেই উদ্যোগ নিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তির পরেই আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি হয় তালেবান। ২০১৪ সালে ন্যাটোর বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ে। এবার মার্কিন সেনাও আফগানিস্তান ছাড়বে।
কাতারের রাজধানী দোহায় আফগান সরকারের সাথে তালেবানের আলোচনা চলছে। গত মঙ্গলবার সেই আলোচনায় যোগ দিতে দোহা গেছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন. তালেবানকে সাহসী হতে হবে ও সরকারের সাথে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করতে হবে।
কিন্তু কীভাবে দেশশাসন করা হবে, তা নিয়ে আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় বলে জট কাটেনি। -ডয়চে ভেলে