বয়স যখন উনিশ

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৫৬ এএম

১৯ বয়সটা অনেক অস্থির ও প্রতিযোগিতার। চারপাশে বর্ণিল আলোর হাতছানি। ফ্যাশনে, তারুণ্যে, প্রতিবাদে, ঝড়ে এ বয়স হয়ে ওঠে অনন্য। এ বয়সেই আসে প্রথম শারীরিক অনুভূতি, প্রথম প্রেম, প্রথম স্বাধীনতা, প্রথম বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস! 

তবে এই সময়টাতে অনেকে নানা হতাশায় ভোগেন। এসব সমস্যা থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে লিখেছেন ইফতেখার আলম ফরহাদ...

কাউন্সিলিংয়ের বিকল্প নেই

চলার পথে কার সাথে বন্ধুত্ব হচ্ছে, কে কী বলছে, কোথায় যাচ্ছো- সব কিছু মা-বাবা বা বাসার কারও সাথে শেয়ার করতে পারো ও কাউন্সিলিং করো। আর যদি কোনো কিছুতে হতাশা এসে যায়, তাও বলো। পরিবারের আপনজনদের সাথে বন্ধুত্ব যেকোনো পরিস্থিতিই সামলে নেয়া সম্ভব।

ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত

ঘুম মানুষকে অনেক সতেজ রাখে। তোমাকে অন্ততপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন রাতে রুটিন করে ঘুমাতে যাবে ও সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠবে। ঘুমানোর জায়গা যেন আরামদায়ক, শান্ত, অন্ধকার হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবে। ঘুমানোর সময় ল্যাপটপ, আইফোন, ট্যাব ইত্যাদি নিয়ে অলস সময় কাটাবে না। কয়েক দিন নিয়ম মেনে চলো, দেখবে তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে। ঘুমের আর কোনো সমস্যাই হচ্ছে না।

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে

কথায় আছে ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। আর বয়ঃসন্ধি কাল সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শারীরিক-মানসিক পরিবর্তনগুলো খুব তাড়াতাড়ি হয়। হরমোনের দ্রুত পরিবর্তনের ফলে বেশি মাত্রায় চাপ ও হতাশা কাজ করে। আর এসব থেকে বাঁচতে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি করে।

লিখতে পারো ডায়রি

প্রথমে তুমি তোমার সব সমস্যা, ভাবনা-চিন্তা, মনের সব কথা, কষ্টের স্মৃতি একটি ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারো ও এগুলো থেকে তুমি কীভাবে বের হতে চাও সেই বিষয়েও সমাধানমূলক কথা লিখবে। দেখবে প্রতিদিন চলার পথে এই লেখাগুলো অনেক উপকারে আসবে।

ভালো বন্ধু

ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে হবে। কারণ বন্ধুরাই তোমাকে সুন্দর পথে নিয়ে যেতে পারে আবার তারাই তোমাকে নিয়ে অন্ধকারে হারিয়ে যেতে পারে। কার সাথে মিশছো, কে কেমন তুমি যদি না বোঝ, তাহলে পরিবারের কারও সাথে কথা শেয়ার করতে পার। যারা তোমার ভালো বন্ধু সব সময়ই তারা পাশে থাকবে। তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবে। গল্প করবে, একসাথে বেড়াতে যাবে। দেখবে মন ভালো থাকবে।

নিজের ভালো লাগাকে মূল্য দাও

তোমার কী করতে ভালো লাগে- গান শুনতে, বই পড়তে নাকি ঘুরতে? চেষ্টা কর সেসব তালিকা করতে ও তা বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করো। সৃষ্টিশীল কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত কর যেমন- ছবি আঁকা, বাগান করা, লেখা-লেখি, স্কুল-কলেজের স্কাউটিংয়ের সাথে যুক্ত হওয়া ইত্যাদি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh