শত কোটি টাকা আত্মসাৎ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৫৫ পিএম
আনোয়ার হোসেন রানা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেছেন শাশুড়ি দেলওয়ারা বেগম।
মামলায় রানার স্ত্রী আকিলা শরিফা সুলতানা খানম আঞ্জুয়ারা ও তিন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকেও আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২৪ সেপ্টেম্বর বগুড়া পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছেন দেলওয়ারা বেগমের চার মেয়ে মাহবুবা শরিফা সুলতানা, নাদিরা শরিফা সুলতানা, কানিজ ফাতিমা ও তৌহিদা শরিফা সুলতানা।
দেলওয়ারা বগুড়ার শরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরির প্রতিষ্ঠাতা শহরের কাটনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত শেখ শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।
এজাহারে বাদী জানান, দেলওয়ারা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছিলেন। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে ছিলেন তার পাঁচ মেয়ে। তারা একই সাথে অংশীদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে শহরের শাকপালা ও চারমাথা এলাকায় শরিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশন লিমিটেড নামে দুটি ফিলিং স্টেশন এবং শহরের নবাববাড়ী রোডে দেলওয়ারা-শেখ শরিফ উদ্দিন সুপার মার্কেট পরিচালনা করে আসছিলেন।
বাদীর অভিযোগ, শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি বড় জামাই আনোয়ার হোসেন রানা ও মেয়ে আকিলাকে ব্যবসা দেখাশোনার মৌখিক অনুমতি দেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খালি স্ট্যাম্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক চেক ও এফডিআরসহ বিভিন্ন নথিপত্রে স্বাক্ষর নেয় জামাই ও মেয়ে। এরপর তার ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকাসহ এফডিআর ভাঙিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি তুলে নেয়। ২০১৫ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অর্থ তুলে আত্মসাৎ করেন তারা। এর বাইরে একই সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাদীর ব্যাংক হিসাব থেকে আরো ৫০ কোটি নগদ টাকা ও সম্পদ আত্মসাৎ করা হয়। এ কাজে শরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক (ক্যাশিয়ার) নজরুল ইসলাম, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক হাফিজার রহমান ও সুপার মার্কেটের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম সহায়তা করেছেন।
এজাহারে বাদী আরো অভিযোগ করেন, এসব কথা বাইরে না জানাতে জামাই রানা পিস্তল দিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিতেন। এর মধ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাসার আলমারি-সিন্দুক থেকে নগদ অর্থ, ব্যাংকের চেক, এফডিআর ও ব্যবসায়িক সব নথিপত্র নিয়ে যান।
এ বিষয় জানতে রানার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে রানার স্ত্রী আকিলা জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি ও তার স্বামী বাসার বাইরে যাওয়ার পর ফিরে এলে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তার স্বামীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে এ মামলা করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, এজাহার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। -ইউএনবি