ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৫১ পিএম
ছবি: আল জাজিরা
শান্তি আলোচনা চলার মধ্যেই আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩৭ জন নিহত ও আহত হয়েছে আরো বহু।
এক সপ্তাহ আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে শান্তি আলোচনায় বসেছেন আফগান সরকারপক্ষ ও তালেবান নেতারা। এর মধ্যেই গত রবিবার সারারাত ধরে নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবানের সংঘর্ষ চলেছে। এতে অন্ততপক্ষে ৫৭ জন নিরাপত্তা কর্মী ও ৮০ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে উরুজগান প্রদেশেই ২৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মারা গেছেন। সেখানে একটি চেকপোস্টে হামলা চালায় তালেবান। শুধু উরুজগানেই নয়, আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে সংঘর্ষ হয়েছে। তিন আফগান গোয়েন্দাকেও অপহরণ করেছে তালেবান।
নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি তালেবান। তবে সেনা ও সরকারি মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে অন্ততপক্ষে ৮০ তালেবান যোদ্ধা মারা গেছেন। এর মধ্যে কুন্দুজ, তাখার, বাঘলান প্রদেশে ৫৪ জন মারা গেছেন বলে সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন।
শুধু সেনা বা নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরাই নয়, তালেবানের হামলায় বহু সাধারণ মানুষ মারা গেছেন বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে তালেবান হানায় দেশের ২৪টি প্রদেশে ৯৮ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন প্রায় ২৫০ জন।
কিন্তু কাতারে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। তার মধ্যে এই ধরনের রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। আসলে দুই পক্ষ নিয়মিত আলোচনা করলেও তা খুব বেশি এগোয়নি। এখনো তারা বিরোধের মূল বিষয়গুলিতে ঢুকতেই পারেনি। কথা হচ্ছে পদ্ধতিগত নিয়ম-কানুন নিয়ে। এই অবস্থায় শক্তিপ্রদর্শন ও চাপ দেয়ার জন্যই আফগানিস্তান জুড়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। -ডয়চে ভেলে ও আল জাজিরা