মাদক মামলায় এবার দীপিকাকে ডাকছে এনসিবি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৪২ পিএম

দীপিকা পাড়ুকোন

দীপিকা পাড়ুকোন

মাদকযোগে এবার বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে ডেকে পাঠাতে পারে ভারতের নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। 

দেশটির একটি ইংরেজি নিউজ চ্যানেল গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তেমনই দাবি করেছে।

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় মাদকযোগে এনসিবি ইতোমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের পর সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই শৌভিককে গ্রেফতার করেছে। এবার সেই সূত্রে অন্যদেরও ডাক পড়ছে। সুশান্তের ঘটনায় ডাক পড়েছে সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুরেরও। 

তবে তালিকায় দীপিকার নাম এসে যাওয়া নিঃসন্দেহে গোটা ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও এ দিন রাত পর্যন্ত দীপিকার তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নয়। তার টুইটারে শেষ পোস্ট করা হয়েছে গত ১৯ জুলাই।


দীপিকার নাম এসেছে কারিশমা নামের একজনের সাথে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্রে। তাকে বুধবার এনসিবি ডেকে পাঠিয়েছে বলে খবর। তার নাম মিলেছে সুশান্তের ঘনিষ্ঠ জয়া সাহার সূত্রে। যাকে সোমবার জেরা করেছে এনসিবি। আজ মঙ্গলবারও করবে।

কারিশমা জাতীয় পুরস্কার জয়ী প্রযোজক মধু মন্টেনার ট্যালেন্ট হান্ট সংস্থায় কাজ করেন। যে সূত্রে মন্টেনাকেও ডেকে পাঠাবে এনসিবি।

সম্প্রতি কয়েক জন বলিতারকার হোয়াটস্‌অ্যাপ চ্যাট এনসিবির হাতে আসে। সেখানে ‘ডি’ ও ‘কে’ আদ্যাক্ষরের দু’টি নামের কথা জানা যায়। মাদক প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে একাধিকবার কথা চালাচালি হয়েছে বলে দাবি করে এনসিবি। এরপরেই শোরগোল পড়ে- কে এই ‘ডি’? ‘কে’ই বা কে?

বলিউডের একাংশের দাবি, ‘ডি’ আসলে দীপিকা পাড়ুকোন। আর ‘কে’ হচ্ছেন কারিশমা। ‘কে’কে বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ‘ডি’ অর্থাৎ দীপিকাকেও সমন পাঠানো হবে বলে খবর।

কারিশমা কাজ করেন ‘কাওয়ান ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’তে। সেই সূত্রেই তার দীপিকার সাথে কথা হতো। কারণ মন্টেনার ওই সংস্থায় দীপিকার ম্যানেজার ছিলেন কারিশমা। ঘটনাচক্রে মন্টেনার একটা টলিউড যোগও আছে। তবে তার সাথে মাদকের কোনো যোগ নেই।


দীপিকাকে ডেকে পাঠানোর সম্ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ফের সরব হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। সোমবার রাতে তিনি টুইট করেছেন, দীর্ঘ মাদকাসক্তি অবসাদের কারণ। সমাজের তথাকথিত উচ্চ সম্প্রদায়ের তারকা-সন্তানরা, যারা নিজেদের সেরা ভাবে, যাদের বেড়ে ওঠা ভাল পরিবেশে, তারাই ম্যানেজারের কাছে জানতে চায়, মাল আছে কি?

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর নিজের অবসাদের কথা ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন দীপিকা। তখনো তাকে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। ‘অবসাদের নামে ব্যবসা চালাচ্ছে’ এমন মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছিল তাকে।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে সমর্থনকারীদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন দীপিকা। কেন্দ্রীয় সরকার তথা শাসকদল বিজেপি কিন্তু বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি। তার কয়েকদিন পরেই দীপিকার ছবি ‘ছপক’ মুক্তির কথা ছিল। বিজেপির একাংশ বলেছিল, ছবির প্রমোশন করতেই দীপিকা ওখানে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর প্রতি চূড়ান্ত কটাক্ষও ছুড়ে দেয়া হয়েছিল সেই সময়। কাকতালীয়ভাবে বক্স অফিসে ‘ছপক’ একেবারেই ভাল ব্যবসা পায়নি। -আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh