দেশি গয়নায় বাজিমাৎ

আফরোজা চৈতি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪১ এএম

এখন কিন্তু দারুণ একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড চলছে, আর সেটি হলো দেশি পণ্যের প্রতি সবার আগ্রহ। ফ্যাশনে দেশি গয়নার ব্যবহার আমাদের যাপিত জীবনেও যোগ করে একটি ভিন্ন মাত্রা। 

দেশি পোশাকের সাথে মিলিয়ে দেশি উপকরণের তৈরি গয়না এখন ক্রমেই নারীদের আকৃষ্ট করছে। হাতের কাজের পোশাক ও শাড়ির সাথে দেশি উপকরণের তৈরি এই গয়নাগুলো বেশ মানিয়ে যায়। 

দেশি বিভিন্ন উপকরণ যেমন- কড়ি, গামছা ইত্যাদির ব্যবহারে এসব গয়নায় একটি নান্দনিক ছোঁয়া পাওয়া যায়। অনেকেই এ ধরনের সুন্দর গয়না বানিয়ে নিজে যেমন পরছেন, তেমনি অনলাইনে এ গয়না বিক্রি করে বাড়তি আয়ের সংস্থানও করছেন। 

সুতি গামছা শাড়ি বা টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ির সাথে অনায়াসে পরতে পারেন এ ধরনের দেশি গয়না। এমন কি চাইলে পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে মিলিয়েও অনেকে পরতে পারেন। গতানুগতিক ফ্যাশনের বাইরে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে এই কড়ির বা গামছা দিয়ে তৈরি গয়নাগুলো। একটি দেশের ফ্যাশন তুলে ধরে সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি। 

আর তাই যখন দেশি গয়না ও উপকরণের সমন্বয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিস আমাদের জীবনে ঠাঁই করে নেয়, তখন সেটা শুধু নিছক ফ্যাশনেই আবদ্ধ থাকে না বরং সেটি গয়নাটি হয়ে ওঠে আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণী বা মধ্যবয়সের গৃহবধূ সবার গয়নার বাক্সেই এখন শোভা পাচ্ছে আমাদের এই দেশি গয়নাগুলো। 

যে কোনো উৎসবে বা পার্বণে অনায়াসে শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে এই গয়নাগুলো তরুণী থেকে গৃহবধূ সবাই পরতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের পূজা বা অন্য যে কোনো উৎসবে এই কড়ি বা গামছার তৈরি গয়নাগুলো অনায়াসে মানিয়ে যায়। অনেকেই বিভিন্ন ফলের ও ফুলের বীজ দিয়ে তৈরি গয়না পড়ছেন। যেমন তেঁতুলের বিচির তৈরি মালা বা কানের দুল পরছেন। 

ফ্যাশন শুধু নিজের চাহিদা বা স্বপ্ন পূরণ নয় বরং কখনো কখনো গয়নার মাধ্যমেই আপনি ছড়িয়ে দিতে পারেন দেশের প্রতি আপনার মমত্ববোধ ও ভালোবাসা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh