খাগড়াছড়িতে জুমে বাম্পার ফলন

সমির মল্লিক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫২ এএম

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পাহাড়ের এখন পাকা ধানের সুবাস। সকাল থেকে জুমে জুমে ধান কাটছে জুমিয়ারা। ধান কাটা শেষে জুমঘরে তা মাড়াই চলছে। শেষ মৌসুমের দিকে এমন দৃশ্য জেলার দীঘিনালার সীমানা পাড়া এলাকায়।

চাষীরা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পাহাড়ে জুমের ফলন হয়েছে। ধান ছাড়াও জুমে হলুদ, মারফা, আদা, মরিচ, কচু, মিষ্টি কুমড়া, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ জাতের সবজির চাষাবাদ হয়েছে।

জুমের উৎপাদিত খাদ্য শস্য দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি জুমে উৎপাদিত সবজি ও কৃষিজ পন্য বিক্রি করে জুমিয়াদের সংসার চলে। জুমের উৎপাদিত ধান দিয়ে ৬-৯ মাস পর্যন্ত খাবারের যোগান পায় জুমিয়ারা।

অনুকূল আবহাওয়া ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার খাগড়াছড়ির জুমে ভালো ফলন হয়েছে এমনটাই বলছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সীমানা পাড়র জুমচাষী নবীন ত্রিপুরা বলেন, এবার জুমে বিভিন্ন ধরনে সবজির চাষ করেছি। গতবারের তুলনায় এবার ভালো ফলনও হয়েছে। তবে ভালো করে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারলে ফলন আরো বাড়ত। জুম চাষের ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু বাঁধার মুখোমুখি হতে হয়। এবার প্রথমবারে মতো সমতল ভূমিতে চাষাবাদ উপযোগী ধান জুমে চাষ করেছি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

তবে, উন্নত মানের সার ও বীজ প্রয়োগ করলে উৎপাদন আরো বাড়ত বলে মনে করছেন জুমচাষীরা।

এদিকে, জুমে উৎপাদন বাড়াতে সনাতনী জুমের পরিবর্তে আধুনিক জাতের সবজি ও ধানের জাত বীজ রোপণের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস  বলেনন, জুমের একসাথে  বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়। জুমের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রির পাশাপাশি পরিবারের সারা বছরের খাবারের যোগান দেয় জুমচাষীরা। পুরাতন ঐতিহ্য বীজের পাশাপাশি বিভিন্ন আধুনিক জাতের ধান ও সবজির বীজ রোপণ করলে জুমচাষীরা লাভবান হবে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh