ডায়াবেটিক সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ০৮:০৫ পিএম

বিশ্বে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে ডায়াবেটিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একটা সময় ছিলো, যখন ডায়াবেটিককে বয়স্কদের রোগ হিসাবেই ধরা হত। কিন্তু এখন এই ধারণা ভুল প্রমানিত হয়েছে। বর্তমানে ডায়াবেটিক আক্রান্ত হচ্ছে শিশুও।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে মেনে চলতে হয় নানা নিয়ম। খাবার খাওয়াসহ জীবনযাপনের নানা বিষয়ে হতে হয় সতর্ক। তবে সেই সতর্কতা মানতে গিয়ে অনেকে অনেক রকম ভুল করে ফেলেন। সুস্থ থাকতে হলে সেসব ভুল ধারণা বাদ দেয়া জরুরি।

ডায়াবেটিক ধরা পড়লে স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া চলে না, এমনটাই ধারণা বেশির ভাগ মানুষের। তবে বাস্তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ ভুল, বলছেন গবেষকরা।

গবেষকরা বলছেন, ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাবার। তাই কখনই শর্করা জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেয়া উচিত নয়। বরং কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

বেশির ভাগ মানুষেরই এটা ধারণা যে, ডায়াবেটিকে আক্রান্তদের মিষ্টি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বাস্তবে এ ধরণা মোটেই সঠিক নয়। কারণ নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিষ্টি সবাই খেতে পারেন। বরং চিকিৎসকদের মতে, শুধু ডায়াবেটিকে আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই নয়, বেশি মিষ্টি খাওয়া যেকোনো মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর।

ডায়াবেটিকে আক্রান্তরা কখনই রক্তদান করতে পারেন না, এমনটাই ধারণা বেশির ভাগ মানুষের। তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ যারা নিয়মিত ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন, তারাই শুধু রক্তদান করতে পারেন না। বাকিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে, রক্তদানে কোনো সমস্যা নেই।

অনেকেই মনে করেন, ডায়াবেটিকে আক্রান্তদের সব সময় উচিত খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রেখে যতটা সম্ভব কম পরিশ্রম করা। তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কারণ, নিয়ম মেনে চললে আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিকরাও বাকিদের মতোই স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন।

অনেকেই মনে করেন, চিকিৎসক ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মানেই রোগী মোটেও নিয়ম মেনে চলছেন না। বাস্তবে এ ধরণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ টাইপ ২ ডায়াবেটিকে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা দ্রুত কমে যায়। ফলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও একটা সময়ের পর ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh