রাফিউজ্জমান রাফি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪৮ এএম
জিনাত হাকিম, মেজবাহ উদ্দিন সুমন ও চয়নিকা চৌধুরী
জিনাত হাকিম: পরিবারের দেখভালের জন্যই শুটিংয়ে থাকতে হয়েছে। নাট্যকার ও নির্মাতা জিনাত হাকিমের কোনো নাটক ছিল না এবারের ঈদে। কারণ তিনি মনে করেন লকডাউন উঠে গেলেও সাবধানতার জায়গাগুলোতে কেউই এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। শুটিং হাউস, বাইরের খাবার এগুলোকেও তিনি নিরাপদ মনে করেননি; কিন্তু তারপরও শুটিংয়ে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে সেটা পরিবারের দেখভালের জন্যই আজিজুল হাকিম অভিনয় করেছেন।
বিটিভির ঈদ আয়োজন উপলক্ষে নির্মিতব্য শিশুতোষ অনুষ্ঠান বায়োস্কোপের একটি নাটিকায়। মান্নান হীরার রচনায় মাসুদ চৌধুরীর পরিচালনায় নাটিকাটিতে অভিনয় করেছেন হাকিম দম্পতির ছেলে মুহাইমিন রিদওয়ান হাকিম হৃদ। স্বামী আর সন্তানের খাবার থেকে শুরু করে সমস্ত সাবধানতার জন্যই জিনাত হাকিমকে যেতে হয়েছে নাটিকাটির শুটিংয়ে।
মেজবাহ উদ্দিন সুমন: এবার ঈদে নাট্যকার মেজবাহ উদ্দিন সুমনের চারটি নাটক ও একটি শর্টফিল্ম প্রচার হয়েছে। নাটকগুলো হলো: বাবার বুকের ঘ্রাণ, গর্ভধারিণী, ভারপ্রাপ্ত হাজব্যান্ড ও ভালো হইতে পয়সা লাগে না। বাবার বুকের ঘ্রান ও গর্ভধারিণী নাটক দুটি পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ সুমন।
মেজবাহ উদ্দিন সুমন মনে করেন করোনাকালীন শুটিংয়ের অনুমতি দেয়া হলেও আগের মতো যে প্রচুর শুটিং হচ্ছে, তা নয়। তার মতে এখন শুটিং হচ্ছে মাত্র ২০ শতাংশ। এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কাজ করা জটিল ছিল বলে মনে করেন এই নির্মাতা।
চয়নিকা চৌধুরী: যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করেছি। স্বাভাবিক সময়ে ১০টি করে নাটক নির্মাণ করলেও এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী নাটক বানিয়েছেন মাত্র একটি। নাটকটির নাম মেঘলা মনের মেয়ে।
এছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতির ওপরও চয়নিকা চৌধুরী তৈরি করেছেন ঘরবন্দি সময়ের সম্পর্কের গল্প রৌদ্র - ছায়া। করোনাকালীন শুটিংয়ের ব্যাপারে তিনি মনে করেন, করোনা অনেক কিছু শিখিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে একটি হলো অল্প দিয়েই ভালো কিছু করা সম্ভব। শুটিংয়ে তিনি ও তার ইউনিট সামাজিক দূরত্ব মেনে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে, স্যানিটাইজিং করে, যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে শুটিং সম্পন্ন করেছেন।