রিজেন্ট-জেকেজির তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০৫:১৪ পিএম

রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের কভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতি নিয়ে দ্বিতীয়দিনের মতো  স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, রিজেন্ট ও জেকেজি সম্পর্কে আমি যা জানি, তা বলেছি।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি কী জানি, তার জন্য দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা আজ আমাকে আসার অনুরোধ করেছিলেন। আমি যা জানি তা তাদের বিস্তারিত বলেছি। তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কে এ মুহূর্তে আমার পক্ষে এর বেশি কিছু আপনাদের বলা সম্ভব নয়।

একই অভিযোগে বুধবার (১২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

এছাড়া নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় অনিয়মের অভিযোগে আবুল কালাম আজাদকে গতকাল প্রথমদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা।

ওই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, দায়িত্বপালনকালে কোনো দুর্নীতি করিনি। আমি সৎ, দক্ষ,সজ্জন ও মেধাবী হিসেবে কাজ করে গেছি। তবে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।

গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন আবুল কালাম আজাদ। এরপর গত ৬ আগস্ট মাস্ক-পিপিইসহ করোনা স্বাস্থ্য সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম অনুসন্ধানে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ১২ ও ১৩ আগস্ট তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh