অবশেষে বিচারাধীন শিশু যৌন নিপীড়নের মূল হোতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২০, ০১:৫৫ পিএম

জার্মানিতে দীর্ঘ তদন্তের পর শুরু হয়েছে শিশু যৌন নিপীড়নের মূল হোতা ইয়র্গ এলের বিচার কাজ।

ইয়র্গ এল মোট ৭৯ টি অপরাধে অভিযুক্ত করেছেন তদন্তকারীরা৷ বলা হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে তিনি অপরাধগুলো করেছেন তার চ্যাট পার্টনার কাম্প লিন্টফোর্ট নামের এক সাবেক সৈনিকের যোগসাজশে৷ মে মাসের শেষের দিকে তাকে দশ বছরের জেল দিয়েছে আদালত৷ অন্যদিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি এখন ইয়র্গ৷

এর আগে, জার্মানির কোলন শহরের এক বাসিন্দার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু যৌন নিপীড়নের বড় একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পায় পুলিশ। ইয়র্গ এল নামের ৪৩ বছয় বয়সী এই ব্যক্তির বাড়িতে অসংখ্য শিশু পর্নোগ্রাফি ফিল্ম এবং ছবি উদ্ধার করা হয়। সেই সূত্র ধরেই জার্মানির ইতিহাসে শিশু যৌন নিপীড়নের সংগঠিত অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় তদন্তটি চলছে৷

তদন্তের প্রেক্ষিতে নিপীড়নের শিকার প্রায় ৫০টি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনমাস বয়সিও রয়েছে৷ পাশাপাশি নিপীড়নকারীদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷ এইসব ঘটনায় জড়িত ৮৭ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান এবং কোলনের স্টেট প্রসেকিউটর মার্কুস হার্টমান৷ পাশাপাশ এই ৮৭টি ঘটনার প্রত্যেকটির সঙ্গে জড়িত নতুন সন্দেহভাজনকে খুঁজে বের করছেন তারা৷

ইয়র্গ এল পেশায় ছিলেন একজন রাঁধুনি হোটেল ম্যানেজার৷ তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তিনি নিজের কন্যার উপর একের পর এক যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন৷ ২০১৭ সালে জন্ম নেয়া শিশুটির বয়স তখন ছিল মাত্র দুই বছর৷ নিপীড়নের এইসব দৃশ্য তিনি ধারণ করে পরে চ্যাট গ্রুপে বিনিময় করতেন৷ আর এর শুরু শিশুটির বয়স যখন তিন মাস তখন থেকেই৷

ইয়র্গ এলকে গ্রেফতারের পর কোলন শহরের পুলিশ বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে৷ কয়েক ট্যারাবাইটের ভিডিও স্থিরচিত্র উদ্ধার করে তারা৷ ১৩০ জন তদন্তকারী এখনও সেগুলো খতিয়ে দেখছেন৷ পরিস্থিতি এমন যে, এইসব ভিডিও দেখে তদন্ত কর্মকতারা নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন৷ মানসিক যাতনার কারণে এরিমধ্যে টাস্কফোর্সের তিনজনকে অসুস্থতাজনিত ছুটি দিতে হয়েছে৷

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh