চীন-ভারতের টিকা নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০২:৩১ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০৩:৫৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীন ও ভারতের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে কেউ কেউ রাজনৈতিক ইস্যু বানাচ্ছে।

তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেবে। চীন ৮ হাজারের বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছে। এটা নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো বিতর্ক তৈরি হয়নি। এটাকে নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক আর চীনের সাথে অর্থনৈতিক।

আজ শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চীন ও ভারতের করোনার টিকার ট্রায়াল বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কুটনৈতকি তৎপরতরা কোন দিকে যাবে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাসা করেন, তারা এর মূল দায়িত্বে। আমি যেটা শুনেছি চাইনিজ একটি কোম্পানি যারা বিভিন্ন দেশে এ ধরনের গবেষণা করে। আমাদের দেশের আইসিডিডিআরবি ২৮টি দেশের প্রতিষ্ঠান, যারা কলেরা নিয়ে গবেষণা করে। তাদের

মধ্যে একটা সম্পর্ক হচ্ছে। কিন্তু কেউ কেউ এটা রাজনৈতিক বিষয় বানানোর চেষ্টা করছেন। দিস ইস পিউরলি রিসার্চ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান অক্সফোর্ডের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে এটা করছে। আমরা এখনো এ বিষয়ে কারও সাথে সহযোগিতা চুক্তি করিনি। যেখানে পাওয়া যায় তাদের সাথে আমাদের সহযোগিতা চুক্তি করা উচিৎ। তাতে সস্তায় অতি শিগগিরই আমরা ভ্যাকসিন পেতে পারি। 

তিনি আরো বলেন, আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে একটি উদ্যোগ নিয়েছি। যার মাধ্যমে যার যার দরকার তাদেরকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেয়া যাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এটা করেছি। আমরা চাই এগুলো দ্রুত হোক। কোন দেশ থেকে নেব, না নেব তা নিয়ে তেমন কিছু ভাববার বিষয় নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্র, সীমান্ত, নিরাপত্তাসহ আমাদের বড় ধরনের সব সমস্যা দূর হয়েছে। ছোট কিছু সমস্যা ঝুলে আছে। ঠিক হয়ে যাবে। মনে রাখবেন ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আর চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক। ভারত-চীনের গণ্ডগোল এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নয়।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা যে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে আইনের সম্মুখীন করবো। কিন্তু এই পাঁচ খুনি এখনো যারা জীবিত আছে এর মধ্যে দুইজনের খবর আমরা জানি। একজন আমেরিকায় ও আরেকজন কানাডায় থাকেন। এদেরকে আমরা আনতে পারবই এমন গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি না। কারণ তারা যে দেশে আছে তাদের উপর নির্ভর করে। তবে আমাদের সকল মিশনকে সতর্ক করেছি যাতে দ্রুত খুনিদের খুঁজে দেশে আনা যায়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. এম মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, জেলা আওয়ামী লীগের

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীনসহ অন্য নেতারা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh