ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২০, ১০:৩৪ এএম
ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আর সাথে মাছের ঝোল, ভোজনপ্রিয় সাধারণ বাঙালির কাছে এর চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। দুবেলা দুমুঠো ভাত না হলে আমাদের চলেই না। কিন্তু সেই ভাতেই যদি থাকে বিষ?
চমকে ওঠার মতো বিষয় হলেও এটাই এখন আমাদের বাস্তবতা। ভাতের এক একটি লোকমার সাথে আমরা মুখের ভেতর চালান করে চলেছি নানান রকম বিষ। এখন প্রায় প্রতিটি চাষের জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দেয়া হয়। ফলে বাজার থেকে যে চাল কিনে আনা হচ্ছে তা রাসায়নিক মুক্ত কিনা সেটা খালি চোখে বোঝার তেমন উপায় নেই। সার ও কীটনাশক দেয়া জমির ধান থেকে প্রাপ্ত চাল কতটা বিশুদ্ধ এ নিয়ে প্রশ্ন থাকেই।
তবে সমস্যা থাকলেও এ থেকে মুক্তির উপায় আছে। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, বিশেষ কয়েকটা পদ্ধতি অবলম্বন করলেই চাল থেকে রাসায়নিক দূর করা যায়।
চাল ধোয়া
প্রথমেই একটি বড় পাত্রে প্রয়োজনমত চাল নিয়ে তা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। অন্তত পাঁচ মিনিট ধরে বেশ কয়েকবার পানি বদলে চাল ধুতে হবে। এটিই চাল পরিষ্কারের প্রথম ধাপ।
চাল ভিজিয়ে রাখা
ভাল করে ধোয়া হয়ে গেলে সেই চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে চালের মধ্যে থাকা ধুলো ময়লা তো বটেই, রাসায়নিক থাকলেও তা অনেকটাই বেরিয়ে যাবে এই পদ্ধতিতে।
পানি বদলে নিন
এবার ওই চাল ধোয়া পানি ফেলে আরো দুই-তিনবার পানি বদলে ধুয়ে নিতে হবে। এই পদ্ধতিতে চালের বিষ অন্তত ৮০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
আধসেদ্ধ পানি ফেলে দিন
ধুয়ে রাখা চাল গ্যাসে বসিয়ে আধাসেদ্ধ অবস্থায় আবারও চালের পানি ফেলে দিতে হবে। এর ফলে চাল প্রায় ৭৫ ভাগ আর্সেনিক মুক্ত হয়ে যায়।
মার ফেলে দিন
বেশি আঁচে টগবগিয়ে ভাত ফোটাতে হবে। আর খাবার আগে পুরো মারটাই ফেলে দিন। কারণ চালে যদি কোনও দূষিত জিনিস থেকেও থাকে তা এই প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি চলে যাবে।