নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২০, ১০:২৬ এএম
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর মরদেহ মোহাম্মদপুর আল মার্কাজুলে গোসল করানো হচ্ছে। এরপর শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকাল ১০টায় নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হবে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাবুর অকাল মৃত্যুতে তিনি শোক জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি বাবুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। অসুস্থ থাকার সময়ে শফিউল বারী বাবুর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শোকবাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন বাবু। দলের সব ক্রান্তিকালে বাবু দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে বাবু থাকতেন সামনের কাতারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে করোনার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজের জীবনকে বিপন্ন করে নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। অকালে পৃথিবী থেকে তার চলে যাওয়া দলের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার জানান, শফিউল বারী বাবু বেশ কিছুদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণজনিত রোগে ভুগছিলেন। এর ফলে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি রাজধানীর ইস্কাটনের বাসাতেই ছিলেন। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দ্রুত তাঁকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে।
শফিউল বারী বাবু ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বিএনপির ও এর সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে কাজ করেছেন নিরলসভাবে। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের আন্দোলনে থেকেছেন তরুণদের নেতা হিসেবে। গণতন্ত্রের প্রতি ছিল তাঁর দায়বদ্ধতা। দলের সব সংকটকালে তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ছিল নেতাকর্মীদের জন্য প্রেরণার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁকে অনেকবার কারাভোগ করতে হয়েছে।