ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ০৩:৫৯ পিএম
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পুরোপুরি তৈরি হতে এখনো সময় লাগবে। তার আগে হবে নানা জায়গায় মানবদেহে ট্রায়াল।
আর ভারতে এই টিকা উৎপাদন করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। টিকাটি দেশটিতে উৎপাদনের আগে তা মানুষের উপর প্রয়োগ করে দেখা হবে। তার জন্য কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের (ডিসিজিআই) অনুমতি চেয়েছে ‘সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কভিড টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে যে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোজেনেকা’ তাদের সাথে একটি চুক্তি হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার। ভারতে তারা যাতে ওই টিকার ঢালাও উৎপাদন করতে পারে।
দুইটি ফেজে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কভিড টিকা নিয়ে পরীক্ষার সাফল্যের খবর গতকার সোমবার (২০ জুলাই) প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ।
সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুইটি ফেজে চালানো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রায়ালের ফলাফল উল্লেখযোগ্য। আমরা এতে অত্যন্ত খুশি। এখন এই টিকা ভারতে উৎপাদনের জন্য আমাদের লাইসেন্স প্রয়োজন। তার জন্য ভারতীদের উপর আমাদের এই টিকা প্রয়োগ (‘হিউম্যান ট্রায়াল’) করে দেখতে হবে। তার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি চেয়েছি। সেই অনুমতি পেলেই আমরা ট্রায়াল শুরু করে দেব। শিগগিরই এই টিকার উৎপাদনও শুরু করব আমরা। প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টিকা উৎপাদন করা হবে।
সিরাম ইনস্টিটিউট আগস্ট থেকেই ভারতে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে চাইছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তবে এ দেশে কত বেশি সংখ্যায় মানুষের উপর তা প্রয়োগ করে দেখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। কোনো টিকা যত বেশি সংখ্যায় মানুষের উপর পরীক্ষা করে সফল হয়, বাজারে এলে সেই টিকার সাফল্যই তত বেশি হয়, সেই টিকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। -আনন্দবাজার পত্রিকা ও বিবিসি