রিক্তা রিচি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ০৬:০৬ পিএম
করোনা পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে অনেকেই আতঙ্কে আছেন। কেননা প্রতিদিন কোনো প্রকার উপসর্গ ছাড়াই অনেক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে উপসর্গবিহীন করোনা রোগীদের মাধ্যমে অন্যদের করোনা ছড়ায় না। তবুও চিকিৎসকরা সবাইকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় নিজের ইচ্ছেমতো সব খাবার খাওয়া যাবে না। খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। রিচ ফুড ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার খেতে হবে।
আইসোলেশনে যেসব খাবার খাওয়া উচিত, এবং যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় তা সাম্প্রতিক দেশকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মশলা চা, তুলসি চা সাহায্য করে। তবে দিনে দুই বা তিনবারের বেশি চা পান করা যাবে না। এতে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
২. আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত মিষ্টি না খাওয়া ভালো। মিষ্টির পরিবরতে খেজুর ও অন্যান্য তাজা ফল খান। বিশেষ করে মৌসুমী ফল যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি খান। এগুলোতে রয়েছে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় ফল খাবেন সাবধানে।
৩. ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে নিয়মিত। তাই মোসম্বি, পাতিলেবু, পাকা পেঁপে, আমন্ড বাদাম, আনারস খেতে হবে। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পিএইচ।
৪. আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় রোজ দুধ পান করুন। কেননা দুধে পান করলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া পৌঁছাবে। ব্যাক্টেরিয়াগুলো ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। কেউ দুধ পছন্দ না করলে দই খেতে পারেন। দইয়ের উপকারিতাও অনেক।
৫. গলাব্যথা ও খুসখুসে কাশি দূর করতে গরম পানি ও লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এতে গলাব্যথা দূর হবে।
৬. এসময় আদা, রসুন, লবঙ্গ খেতে পারেন। এগুলোতে রয়েছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। পেঁয়াজে থাকে ভিটামিন সি-সালফার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম। এগুলো শরীরের জন্য উপকারি। রসুনে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এছাড়া আদা ও লবঙ্গ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
৭. রোজ ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। কেননা লবণে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম রয়েছে। তা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। বেশি লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিপদ হতে পারে।
৮. এসময় ঠান্ডা ফল, পানীয় ও আইসক্রিম খাবেন না। এতে আপনার প্রদাহ আরো বাড়বে।
৯. ডিম, মাংস ও যেকোনো শাক-সবজি পুরো সিদ্ধ করে রান্না করুন। কেননা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাইরাস বাঁচে না।
১০. এছাড়া খাদ্যতালিকায় কালোজিরা, মধু রাখুন। এগুলো প্রাকৃতিক নিয়ামক। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখবে।
১১. আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় সকল প্রকার অ্যালকোহলকে না বলুন।
১২. চর্বিযুক্ত খাবার, তেলে ভাজা খাবার ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
১৩. এসময় বেশি করে পানি পান করুন। সেই সাথে ডাবের পানি, ফলের রস, লেবুর শরবত পান করুন। তবে শরবতে চিনি যোগ না করাই ভালো।
১৪. শরীরে জ্বর থাকলে গরম গরম স্যুপ খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে স্যুপ বানাতে পারেন। এছাড়া কর্ন স্যুপও খেতে পারেন।