নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২০, ০৭:১১ পিএম | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০, ১১:০১ পিএম
দেশের করোনাভাইরাসের কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব সামাল দিতে ফ্যাভিপিরাভির ৫০ জন করোনা রোগীর ওপর ট্রায়াল করা হয়েছে।
এতে ফেভিপিরাভির গ্রুপের ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে সফলতা পাওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন।
এই ওষুধের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৪০০ টাকা। একজন করোনা রোগীর লাগতে পারে ৫২-৭০টি ট্যাবলেট।
বুধবার (৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে জানানো হয়, তিনটি কভিড হাসপাতালে ৫০ জন রোগীর ওপর ট্রায়াল চালিয়ে তারা সফলতা পেয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থ কারো ওপর পরীক্ষা চালানো হয়নি, অল্প ও মধ্যমানের অসুস্থদের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তারা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়েছেন।
তারা আরো জানায়, এই ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। এটি বাড়াতে পারে শ্বাসতন্ত্রের সক্ষমতাও। সরকার ভ্যাট মওকুফ করলে দাম কমবে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, ফেভিপিরাভিরের কার্যকারিতা নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনার সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখনো নেই। ফেভিপিরাভির দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে মাত্র।
তিনি বলেন, মাত্র ৫০ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। ওষুধটির কার্যকারিতার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আরো বড় পরিসরে দেশব্যাপী ট্রায়ালের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ব্যবহৃত জাপানি ওষুধ ‘ফ্যাভিপিরাভির’ করোনাভাইরাস নিরাময়ে কার্যকর বলে জানিয়েছে চীনের মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
জাপানে তৈরি ওষুধটির ব্র্যান্ডনেম ‘অ্যাভিগন’ এবং জেনেরিক নেম ‘ফ্যাভিপিরাভির’। ওষুধটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফুজি ফিল্মের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তয়োমা কেমিক্যাল ২০১৪ সালে এটি উদ্ভাবন করে। এটি সচরাচর ব্যবহার হয় আরএনএ ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায়।
তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেন চীনের গবেষকরা। ‘ফ্যাভিপিরাভির’ ওষুধটি উহান এবং শেনজেনে ৩৪০ জন করোনা রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উৎসাহজনক ফলাফল দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, শেনজেনে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের এ ওষুধ দেয়ার চারদিনের মধ্যবর্তী সময়ে তাদের করোনা নেগেটিভ হতে শুরু করে।