ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২০, ১২:১৬ পিএম
ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন আলিয়া সিদ্দিকি। সেই চিঠিতে সন্তানদের জন্য টাকার দাবিও করেছিলেন তিনি। প্রথমে চুপ থাকলেও পরে সেই নোটিশের পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠান অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। আর তাতে জানিয়ে দেন, স্ত্রীকে কোনো টাকাই তিনি আর পাঠাবেন না।
বলিউডের হিট মুখ নওয়াজউদ্দিনের ব্যক্তিগত জীবন আগেই নানা জল্পনা তৈরি করেছিল। এবার স্বামীর সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ডিং প্রকাশ করে দাম্পত্য তিক্ততা আরো সামনে আনলেন আলিয়া।
নওয়াজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন আলিয়া। তাঁর আরো অভিযোগ, তাঁকে অকথ্য ভাষায় অপমান করেন নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এছাড়াও পরিকল্পনা করে মানহানির চেষ্টা করেছেন। নওয়াজের ভাই সামাস সিদ্দিকি তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ করেছেন এবং নওয়াজ প্রতিবাদ করেননি বলেও অভিযোগ তোলেন আলিয়া। এমন সব অভিযোগ তুলেই গত ১৯ মে আলিয়া বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান নওয়াজুদ্দিনকে।
নোটিশ পাওয়ার পরে নওয়াজ আলিয়াকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন। এরপরে আলিয়া অভিযোগ করেন, টাকা না পাঠানোয় বাচ্চাদের স্কুল ফিও তিনি দিতে পারছেন না। তিনি নওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটা সম্ভব হয়নি। এই অভিযোগ ওঠার পরেই নওয়াজ নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দেন তিনি আর টাকা পাঠাবেন না।
এবারে আলিয়া টুইট করেছেন একটি অডিও ক্লিপ। তা তাঁর এবং নওয়াজের কথোপকথন। শোনা যাচ্ছে, তাতে তিনি নওয়াজকে প্রশ্ন করছেন, আমার বিবেক বিক্রির জন্য নয়, আমি মিথ্যে মানহানির মামলাকেও ভয় পাই না। যে সামাস তোমার চোখের সামনে আমাকে নির্যাতন করেছে, তাকে বাঁচানোর জন্য তুমি যা খুশি করতে পার। আমি সেসবকে পাত্তা দিই না। আদালতে তোমার প্রকৃত চরিত্র আমি উন্মোচন করব।
নওয়াজ আলিয়ার সামনে বেশি কথা বলতে পারছিলেন না। আলিয়া প্রশ্ন করলেন, কোথায় সেই মানহানির মামলা, যা নাকি তুমি আমার বিরুদ্ধে করেছ? জবাবে তিনি বললেন, এখনো করিনি, ভাবছি করার কথা। আলিয়া ফের প্রশ্ন করলেন, সামাসকে বাঁচাতে কত দূর যাবে? তাতে নওয়াজকে বলতে শোনা যায়, একটু ঠাণ্ডা হও।
গত মে মাস থেকেই নওয়াজুদ্দিন এবং আলিয়ার বিচ্ছেদের খবর নিয়ে সরগরম হয় বলিপাড়া। আলিয়ার আইনজীবীই খবরটা প্রথম সংবাদমাধ্যমকে জানান। কিছু দিন আগেই নওয়াজের পুরনো প্রেমিকা নীহারিকা সিং বড় অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেতার বিরুদ্ধে।
বলেছিলেন, নওয়াজের অবদমিত কামের শিকার তিনি। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তিনি জোর করতেন বলেও দাবি করেন নীহারিকা। তা হলে কি নওয়াজের অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং নীহারিকার অভিযোগই বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ? এমন প্রশ্ন উঠেছিল বলিপাড়ায়।
পরে মুম্বাইয়ের ‘স্পটবয়’ পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন আলিয়া। বলেন, সারাটা জীবন অপমান করে গেছে ও। ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ ছবির পরেই ওর নামডাক হতে শুরু করে। আর এর পরেই আমার প্রতি ওর আচরণ বদলে যেতে থাকে। আমাদের বিয়ের সময়ে নওয়াজের কিচ্ছু ছিলো না। আমার পয়সায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন ওর চারটে বাংলো, কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত কী ছিলো ওর? আজ সব ভুলে গেছে নওয়াজ।
আলিয়ার বিরুদ্ধেও নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অন্য ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের কারণেই নওয়াজকে ডিভোর্স দিচ্ছেন আলিয়া। সেসবের জবাবও দেন আলিয়া। তিনি এর জন্য টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলে বলেন, সব সত্য তিনি সামনে আনবেন। দাবি করেন, কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তিনি সম্পর্কে লিপ্ত হননি। যে সকল খবর সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিষয়ে প্রকাশিত হয়েছে তার সব মিথ্যা। তবে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি ডিভোর্সের কারণ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি।