শাওয়াল মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২০, ১১:২৩ এএম | আপডেট: ০২ জুন ২০২০, ১১:২৭ এএম

রোজা রাখলে আত্মিক ও মানসিক উন্নতি ঘটে। সেই সাথে ধর্মীয় বিধান পালন করা হয়। সওয়াব অর্জিত হয়। রমজানে একমাস রোজা রাখার পরেও শাওয়াল মাসে রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। শাওয়ালে রোজা রাখার গুরুত্ব অনেক।  

শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিসে হাদিসে এসেছে,

হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে এবং পরবর্তীতে (ঈদের দিন বাদ দিয়ে) শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখে সেক্ষেত্রে সে যেন গোটা বছরই রোজা রাখলো।’ (মুসলিম)

হজরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখল, এরপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় গোনাহমুক্ত হয়ে গেল।’ (আল মুজামুল আওসাত)

হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রতিটি নেকি ১০ গুণ বৃদ্ধি করেন। সুতরাং রমজানের এক মাস রোজা রাখার দ্বারা ১০ মাস রোজা রাখার সাওয়াব হবে এবং ঈদুল ফিতরের পর ছয়টি রোজা রাখার দ্বারা পূর্ণ এক বছর রোজা রাখার সাওয়াব হবে।’ (ইমাম নাসাঈ ফিস সুনানিল কুবরা)

হজরত আবু আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলো, এরপর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখলো সে যেন এক যুগ (পূর্ণ বছর) রোজা রাখলো।’ (আবু দাউদ)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh