সরকারের তুঘলকি জনগণকে মহাবিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০, ০৫:৪৭ পিএম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দায়িত্বশীলতা নেই বলেই সরকার এভাবে তুঘলকি কারবার করছে। জনগণকে পুরোপুরিভাবে মহাবিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

সোমবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কাল থেকে দেখছি, রেলগাড়ি চলছে, গাদাগাদি করে মানুষ আসছে। বাসে রীতিমতো মারামারি হচ্ছে ওঠার জন্য। বাংলাদেশে এভাবে গণপরিবহনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন? যেখানে আপনি অফিস খুলে দিয়েছেন, অফিস খুললে লোকজন তো আসবেই। লঞ্চেও একই অবস্থা হয়েছে। এখন সরকারের অবস্থা হচ্ছে যে- ‘কানে দিয়েছি তুলো, যা খুশি বলেন আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা তো আছি।’

ফখরুল বলেন, বারবার করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের (সরকার) নিয়োজিত যে টেনিক্যাল পরামর্শক কমিটি রয়েছে তারাও বলছেন যে, সবকিছু খুলে দেয়া একটা সুইসাইডাল। এটা করলে একটা ভয়ংকর অবস্থা তৈরি হবে। তারা সেই কথা শুনেননি। আরো সময় নিতে পারতো। ভারতে দেখেন, তারা সব রাজ্যের চিফ মিনিস্টার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একমাস লকডাউন বাড়িয়েছে। যে কথাটা আমি বার বার বলেছি, দায়িত্বশীলতা নেই বলেই সরকার এভাবে তুঘলকি কারবার করছেন। জনগণকে পুরোপুরিভাবে মহাবিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কিছু বললেই তো বলে যে, আমরা উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করছি, আমরা সমালোচনা করছি। একজন তো প্রায়ই বলেন যে, বিষোধগার করবেন না। আরে বিষোধগার করে আপনারা যে অবৈধভাবে সরকার দখল করে আছেন সেটা বলছি না। আমরা বলছি যে, আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। এটা পারছেন না করতে, এই জিনিসটা করা উচিত ছিলো।

বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক’ অভিহিত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে একটা অমানবিক কাজ করা হয়েছে। বাসে কারা ওঠে? কম আয়ের সাধারণ মানুষেরাই বাসে ওঠে। তাদের বাস ভাড়া বাড়িয়ে দিলো। কার স্বার্থে বাড়িয়েছে? মালিকদের স্বার্থে বাড়িয়েছে। মালিকদের আবার প্রণোদনা দিচ্ছে, অনুদান দিচ্ছে। পুরো বিষয়টা হয়েছে লুটপাটের জন্য, পুরোপুরি লুটপাট। শুধুমাত্র দুর্নীতির চরমভাবে সুযোগ নিচ্ছে সবাই।

গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট অনুমোদন না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে ফখরুল বলেন, এখনও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কিট অনুমোদন পায়নি। পত্র-পত্রিকায় আমরা দেখেছি এই কিট নিয়েও বিভিন্ন রকমের দুর্নীতি চলছে, ব্যবসা চলছে, বাণিজ্য চলছে। মানুষের দুর্দিনে যারা মানুষের স্বাস্থ্যকে, জীবনকে পূঁজি করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার, সুযোগ দেয় সেই সরকারকে কি আমরা দুর্নীতিমুক্ত বলতে পারবো? পারবো না।

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, সদস্য মেহেদি হাসান পলাশ, অধ্যাপক শামসুর রহমান শামস, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh