চলনবিলে অবাধে চলছে মা মাছ শিকার

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০, ০২:৩৪ পিএম

ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও মৎস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিলে এসেছে বর্ষার নতুন পানি। পানি আসার সাথে সাথে মা মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন জেলেরা।

সোমবার (১ জুন) সকালে দেখা যায়, চলন বিলে নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে জেলেরা। তবে এই মা এবং ডিমওয়ালা মাছ নিধন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরি পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে চলনবিলে মাছ উৎপাদনে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।

নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের সর্ববৃহৎ বিলাঞ্চলে এখন চলছে অবৈধ নানা উপায়ে মা মাছ শিকার। আর এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই ও কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিনে ও রাতে মা মাছ শিকার করে হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও দেখার কেউ নেই।

গত এক সপ্তাহে চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, গুরুদাসপুর, সিংড়া ও আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন নদী ও খালে বন্যার পানি আসায় বিভিন্ন হাট বাজার, তাড়াশ ও সিংড়া মৎস্য আড়তে দেখা গেছে ডিমে পেট ভরপুর টেংরা, পাতাসী, পুঁটি, মলা, বোয়াল, শোল, মাগুড়সহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

নাটোর মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছগুলো। বর্ষা শুরু হলেই চলনবিলের মাছগুলো ডিম ফুটাতে থাকে। কিন্তু এই সময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী ডিম এবং মা মাছগুলো শিকার আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বিলে পানি আসার সাথে সাথে মাছ শিকারে নেমে পড়েন জেলেরা। এতে করে জেলেদের জালে ধরা পড়ে নষ্ট হচ্ছে ডিমগুলো।

চলনবিলের বিভিন্ন মৎস্য আড়তে প্রতি কেজি টেংরা ৭’শ টাকা, পাতাসী ১২’শ টাকা, মলা ৫’শ টাকা, বোয়াল ১ হাজার টাকা, শিং মাছ ৭’শ সিংড়া উপজেলার মৎস্য অভয়াশ্রম দহ, জোড়মল্লিকা, নিংগইন, কতুয়াবাড়ি, সোহাগবাড়ি, সাঁতপুকুরিয়া, বিয়াশ, ডাহিয়া, নুরপুর ও আত্রাই নদী এবং বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই, কারেন্ট, খোরা জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিমে ভরপুর টেংরা, পাতাসী, পুঁটি, মলা, বোয়াল, শিংসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ প্রকাশ্যে নিধন করছেন এক শ্রেণির অসাধু জেলে।

সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা বলেন, বিলে নতুন পানি আসার কারণে কিছু অসাধু জেলেরা মা মাছগুলো শিকার করছে। আমরা প্রথমে মাইকিং এরপর অভিযান শুরু করবো। চলনবিলে মা মাছ রক্ষার কোন বিকল্প নেই। বিক্রি হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh