পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে নতুন করে আরো দশজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত দশজনের মধ্যে সাতজনই পুলিশ সদস্য।
শনিবার (২৩ মে) রাতে দুই দফায় চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ও সিভাসু থেকে আসা রিপোর্টে নতুন শনাক্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল কার্যালয়ের করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) থেকে যে ৩৯ জনের রিপোর্ট এসেছে, তার মধ্যে এই দুইজনের রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে। বাকি ৩৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ।
এদের দুই জনের একজন রাঙামাটির শহরের প্রবেশপথ মানিকছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির বাবুর্চি (পুরুষ), আরেকজন কাউখালী উপজেলার এক নারী।
এরপর রাত বারোটায় আসা চট্টগ্রাম ভেটেনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) থেকে আসা মোট ৪৬ টি রিপোর্টের মধ্যে ৮টি পজিটিভ এবং ৩৮টি নেগেটিভ এসেছে। এই রিপোর্টে আক্রান্তদের ৩ জন পুলিশ মানিকছড়ি চেক পোস্টের, ৩ জন পুলিশ বেতবুনিয়া রাবার বাগান চেকপোস্টের, এক জন রাঙামাটি শহরের টিএন্ডটি এলাকার এবং একজন লংগদু উপজেলার।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শনিবার আসা রিপোর্টে আমাদের বেতবুনিয়ার রাবার বাগান চেক পোস্টের তিনজন কনস্টেবল এবং মানিকছড়ি চেকপোস্টের ৩ জন কনস্টেবল ও একজন বাবুর্চিসহ ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা সেখানকার আক্রান্তদের আইসোলেশনে এবং অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছি। সেখানে দায়িত্ব পালন করার জন্য নতুন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে নতুন দশজন শনাক্তসহ রাঙামাটিতে এখন মোট ৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম শনাক্ত ৪ জন ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন এবং ১৪ দিনের চূড়ান্ত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এর আগে ৬ মে রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত হন ৪ জন। এরপর ১২ মে একজন, ১৩ মে ৯ জন, ১৪ মে ১১ জন, ১৬ মে একজন, ১৯ মে ১৭ জন, ২২ মে ৩ জন এবং ২৩ মে ১০ জন আক্রান্ত হলো করোনায়।