যেভাবে হলো আমফানের নামকরণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ০৯:৩৪ পিএম | আপডেট: ১৮ মে ২০২০, ০৯:৪৫ পিএম

ইতোমধ্যে সুপার সাইক্লোনের আকার ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২২৩ কিলোমিটার। এটি এখন প্রায় ২২ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। 

মঙ্গলবার (১৯ মে) মধ্যরাতে থেকে বুধবার বিকেল কিংবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। ঝড়টির উৎপত্তি এখন হলেও এর নামকরণ হয়েছিল ১৬ বছর আগে। এবারের নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষায় ‘আমফান’ অর্থ স্বাধীন চিত্ত, শক্তি, দৃঢ়তা।

২০০৪ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সভায় আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোনের নামকরণ নিয়ে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় সে সময়ই আম্ফান নাম তালিকায় যুক্ত হয়। মূলত ওই সময় থেকেই এ অঞ্চলের ঝড়গুলোর নির্দিষ্ট নাম দেয়া শুরু হয়। তার আগে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে আলাদা নামে ঝড়গুলোকে আখ্যায়িত করতো।

তবে দেশের আবহাওয়া অধিদফতর ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া চূড়ান্তভাবে শুরু করে ২০০৭ সালে। ওই বছরের নভেম্বরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয় ‘সিডর’। সিডরের পর একে একে তাণ্ডব চালানো ঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়- আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, মোরা, নার্গিস, ফণী ও বুলবুল।

জানা যায়, ২০০৪ সালে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) এবং ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (এসক্যাপ)- এর অধীন আটটি দেশ- ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই অঞ্চলের সাইক্লোনের নামকরণ করবে তারা। প্রতিটি দেশ তাদের নামের তালিকা পাঠানোর পর তা চূড়ান্ত করে একটি ডব্লিউএমও এবং এসক্যাপ প্যানেল। 

২০১৮ সালে ডব্লিউএমও এবং এসক্যাপে প্রবেশ করে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh