পঁচিশ বছর পর পপি…

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২০, ০১:৫৪ পিএম

দীর্ঘ ২৫ বছর পর পুরো রোজার মাস নিজ গ্রামের বাড়ি খুলনাতে পার করছেন। শুধু তাই নয় সেখানে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করে তারপর ঢাকায় আসার চিন্তা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা পপি। 

১৯৯৫ সালে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন পপি। সেই বছরই তিনি ‘লাক্স আনন্দ বিচিত্রা’ ফটোসুন্দরী হন। পরের বছর শহীদুল হক খানের নির্দেশনায় ‘নায়ক’ নাটকে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে। 

তার পরের বছর মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন ওমর সানী। এই ‘কুলি’ সিনেমার মধ্যদিয়েই সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন পপি। পরবর্তীতে যে কারণে পপিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট, সুপারহিট সিনেমা দর্শককে উপহার দিয়েছেন পপি। 

করোনাভাইরাসের বড় রকমের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার আগেই পপি গ্রামের বাড়ি খুলনাতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে লকডাউনের মধ্যে আর ঢাকায় ফিরে আসতে পারেননি তিনি। মা-বাবা, ভাই-বোনের সাথে খুলনাতে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। 

দীর্ঘ ২৫ বছর পর রোজায় নিজ গ্রামের বাড়িতে থাকা নিয়ে পপি বলেন, সেই যে ১৯৯৫ সালে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজধানীতে গিয়েছিলাম, এরপর আর গ্রামের বাড়িতে এসে দীর্ঘদিন থাকা বা রোজা পালন করার কোনোই সুযোগ ছিলো না। কিন্তু এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েই হোক কিংবা বাধ্য হয়েই হোক নিজ গ্রামের বাড়িতেই আছি। 

তিনি বলেন, এখানে দাদা দাদী নেই। কিন্তু চাচা চাচী, ফুফু, কাজিনরা আছেন। বেশ ভালো সময় কাটছে আমার, আমাদের সবার। গ্রামের ২৫ বছর পর রোজার পরিবেশটাও নিজের মনের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। জানি এবারের ঈদ অনেকের জন্যই কষ্টের হবে। তারপরও এই কষ্টের মধ্যেই আমাদেরকে ঈদ উদযাপন করতে হবে। যে যার সামর্থ অনুযায়ী যার যার পাশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমার বিশ্বাস সুন্দর সময় অবশ্যই আবার আসবে ফিরে। 

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের মানুষ। পপি খুলনাতেই করোনায় অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সহযোগিতার হাত নিয়ে। খাবার দেয়া থেকে শুরু করে পপি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও বিরতরণ করেছেন। দুঃখী, অসহায় মানুষের পাশে পপি সবসময়ই ছিলেন। এখন যেন সেই দায়িত্ব তার আরো একটু বেশি, এমনটাই জানালেন পপি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh