নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২০, ০২:২৯ পিএম | আপডেট: ১০ মে ২০২০, ০১:৪৭ এএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সাতজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের টুইটারে বিবৃতির জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা জটলা করে ওই বিবৃতি দিয়েছেন। যেটা পৃথিবীর কোথায়ও হয় না। তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন।
তিনি রাষ্ট্রদূতদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ শনিবার ( ৯ মে) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা জটলা করে যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটা পৃথিবীর কোথাও আমরা দেখিনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি খুবই খুশি হতাম তারা যদি জটলা পাকিয়ে বিবৃতি দিয়ে বলতেন, রাখাইনে যুদ্ধ হচ্ছে, এটা বন্ধ করা উচিত।
তিনি বলেন, এটা (রাষ্ট্রদূতদের টুইটে দেওয়া অভিমত ) কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা প্রটোকল অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন। তারা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন? নাকি অন্য কোনো কিছু?
তিনি আরো বলেন, আমি আশা করবো তারা তাদের প্রটোকল মানবেন ও সেইভাবেই কাজ করবেন। তারা জ্ঞানী গুনীজন, তারা জানেন, বুঝেন, তাদের এ ধরনের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত নিজেদের টুইটে করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সংক্রমণের সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তব ভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেন। তারা নিজ নিজ টুইটার থেকে এ নিয়ে টুইট করেন ।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসে তিরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা শ্লাইটার, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পিটারসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারিভারওয়েজ টু্ইটারে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় জোর দেন।