নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২০, ০৯:৪১ এএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২০, ০৯:৪২ এএম
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যেই ঈদের আগে খুলে দেয়া হল দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার নরসিংদীর বাবুরহাট।
ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন এ হাটে প্রায় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গত ৯ এপ্রিল থেকে নরসিংদী জেলা অবরুদ্ধ ঘোষণার পর বাবুরহাটের বাজারও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শ্রমিকরা হয়ে পড়ে বেকার। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সঙ্কটে পড়েন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আবেদনে বাজারটি শর্ত সাপেক্ষে খোলার অনুমতি দেয়া হয় বলে গতকাল রবিবার (৩ মে) জানিয়েছেন নরসিংদীর কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।
তিনি বলেন, শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বাবুরহাট বাজার পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হবে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তিনজনের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো দোকানে থাকতে পারবে না। শর্ত মানা হচ্ছে কি না, তার তদারকিতে একজন নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে সেনাসদস্য ও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলী হোসেন শিশির বলেন, আমাদের এই অঞ্চল সারা বাংলাদেশের ইকোনমিক লাইফ লাইন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্থানীয় কাপড়ের। সারা বছর যে বেচাকেনা হয়, তার বেশিরভাগই হয় ঈদের একমাস আগে থেকে ১৫ রোজা পর্যন্ত। এবার লকডাউনের কারণে আমাদের ওই সময়টা পার হয়ে গেছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে শিলমান্দী ইউনিয়নে অবস্থিত বাবুরহাট মূলত পাইকারি কাপড়ের বাজার। বাবুরহাটে গামছা, লুঙ্গী, কাপড়, থ্রি-পিছ, প্যান্ট পিছ, শার্ট পিছসহ বিভিন্ন পসরার নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়ের চাহিদা রয়েছে। এ বাজার থেকে সারা দেশে কাপড় রফতানি করে দেশের বাইরেও রফতানি করা হয়।
এই বাজারকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত কাপড় ব্যবসায়ী ও হাজার হাজার শ্রমিক।