ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১১:০০ এএম
এবছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে অনেকে চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারায় মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান সেন্সর বোর্ডের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন।
অফিস খোলার পর জুরি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেন্সর বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার খুবই কম চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। অনেকে জমা দিতে চাইলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে জমা দিতে পারেনি। তারা মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন।”
এবার ২৮ বিভাগে পুরস্কারের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করার পর চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড অফিস ও ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তার সঙ্গে উন্নতমানের প্রিন্টের ডিভিডি জমা দিতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিকরাই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। আজীবন সম্মাননা পাবেন কেবল জীবিত তারকারা। যৌথ প্রযোজনার ছবিও পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে সে ছবিতে অভিনয় করা বা গান গাওয়া বিদেশি শিল্পীরা পুরস্কার পাবেন না।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অবশ্যই ছবিটিকে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেতে হবে এবং ২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রমাণ্যচিত্রের জন্য প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদ পেতে হবে।
সিনেমার কাহিনীর ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের কপিরাইট বা অনুমতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। অন্যদিকে বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক চলচ্চিত্রের কাহিনী পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।